রাষ্ট্র মেরামতের এখনই সময়: এম সাখাওয়াত হোসেন

বাংলাদেশের ইতিহাসেই শুধু নয়, বিশ্ব ইতিহাসেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে। আরব বসন্তেও এমন গর্জে ওঠেনি, যেমন গর্জে উঠেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের দম্ভের কারণে একপর্যায়ে সারা দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।

এ আন্দোলনে প্রায় ৮ শ তাজা প্রাণ ঝরে যায়। দৃষ্টিশক্তি হারান ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন প্রায় সমপরিমাণ মানুষ। এ আন্দোলনে রাজপথে আরও কত মানুষের রক্ত ঝরেছে, তার হিসাব পাওয়া সহজ নয়। এত এত মানুষের রক্তের বিনিময়ে হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। হাসিনা তাঁর পরিবারের আরেকজন সদস্যকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। পেছনে ফেলে গেছেন তাঁর দলের সমর্থক আর নৃশংসতার সহযোগী হ্যান্সম্যানদের (অপরাধের সহচর)।

হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববরেণ্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের সামনে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো, ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করা ও বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার। চারদিকে সবার মাঝে, বিশেষ করে তরুণদের প্রত্যাশা হলো ‘রাষ্ট্র মেরামত’। এর জন্যই তাঁরা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তরুণ প্রজন্ম ও দেশবাসীরও আকাঙ্ক্ষা যে এই সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মেরামতে পথিকৃৎ হয়ে উঠবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *