কালো যাদু আসলে কি??????

কালো যাদু(Black magic), কুফরি কালাম  বা তাবিজ করা এই সব বিষয়গুলোর নাম শুনলেই ভয় ধরে যেতে পারে যে কোন মানুষের মনের,কিন্তু ক্খনো কি আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে কি কালো যাদু বা কিভাবে কাজ করে এটি। কালো যাদু বহু সমাজে সংস্কৃতিতে একটি বড় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

কালো যাদুকে আল্লাহ্কুরআনের সিহর হিসেবে সম্বন্ধ করেছে যার অথ ঢেকে রাখা অথাথ এই যাদু এমন জিনিস যা ঢাকা থাকে। 

কালো যাদু কিভাবে কাজ করে তা বুঝার আগে আমাদের জিন জাতি সম্পকে বিশেষ ধারনা থাকতে হবে।

আল্লাহ্কুরাআনের বেশ কয়েক জায়গায় উল্লেখ করেছেন যে তিনি জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন আগুন থেকে,আর জিন জাতিকে আল্লাহ্কিছু ক্ষমতা দিয়েছেন যা তিনি মানুষকে দেননি। মহান আল্লাহ্মানুস সৃষ্টির বহু আগে তাদের সৃষ্টি করেন। কুরআনের বণনা থেকে আমরা এইও জানি ইবলিশও জিন জাতির একজন, কিন্তু সে আল্লাহ্ইবাদত করতে করতে ফেরেশতাদের সাথে গেয়ে বসবাস  শুরু করে। আদম (আঃ) সৃষ্টির পর আল্লাহ্যখন ফেরেশতাদের সিজদা করতেন বললেন তখন সবাই সেজদা করল একমাএ ইবলিশ ছাড়া কারন তার মনে অহংকার জন্ম নেয়, সে আগুনে তৈরি আর আদম (আঃ) মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ্নিদেশ অমান্য করায় আল্লাহ্তাকে বিত্যারিত করে দেয় এরপর থেকেই মানুষের প্রকাশ্য শক্র কালো যাদু করা হয় মূলত জিনদের মাধ্যমে বিশেষত আলীমগণদের গবেষণার মতে জিন আর মানুষের মধ্যকার এক ধরনের যুক্তি, যে যুক্তিতে যাদুকর নিজের সতা তার নফস জিনের কাছে উৎসগ করে ।তখন জিন সে যাদুকরকে উদ্ভদ জঘণ্যতম কাজ করার নিদেশ দেয়, যাদুকর সেই কাজ করলে তার বিনিময় তার কাজ করে দেয়। অথাৎ তখন ইবলিশ খুশি হয় , আল্লাহ্কে বলে 

হে আল্লাহ্আপনি এই মানুষকে আমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ অথচ সে আপনার উপাসনা না করে আমার উপাসনা করছে। অথাৎ এই পুরো প্রক্রিয়ায় জিন বা শয়তানের লাভ হচ্ছে,সে মানব জাতিকে আল্লাহ্পথ থেকে দূরে নিয়ে যায় এবং জাহান্নামের পথে নিয়ে আসে। যে ব্যক্তি যাদুবিদ্যা শেখে,শেখায় অথবা চচা করে সে যেনো আল্লাহ্ সাথে কুফরি করল অথবা কাফের হয়ে গেল। সে এই দুনিয়ার ক্ষমতা অথ লাভে উদ্দেশে নিজের আখিরাত ধ্বংস করে ফেললো।

কালো যাদু (সিহর) শেখানো সম্পকিত দুই জন ফেরেশতার নাম হলো হারুত মারুত।

এই ঘটনা কুরআনের সূরা আলবাকারা,আয়াত ১০২তে আল্লাহ্এই যাদুর ইতিহাস বণনা করেন।

হযরত সোলায়মান (আঃ) সময় ব্যাপক বিস্তৃত লাভ করে যাদুবিদ্যা। তখন বহু যাদুকর বিভিন্ন বইয়ের সাহায্যে এর মএ  চচা করতো। তিনি সব বই ব্যাজেয়ত করলেন আর বই যেনো কেউ ব্যবহার করতে না পারে তাই সেগুলো নিজের সিহাংসনের নিচে রাখতেন। আল্লাহ্হযরত সোলায়মান (আঃ) কে জিন,বাতাস পশুপাখির উপর রাজ্যত্ব দিয়েছেন। আল্লাহ্কুরআনের বণনা করেন সোলায়মান (আঃ) জিনকে দিয়ে সিহাংসন চোখের পলকে নিয়ে আসে। এছাড়াও সোলায়মান (আঃ) নিদেশে বাতাস চলতো, তিনি যেখানে বলতেন বাতাস তাকে সেখানে নিয়ে যেত। হযরত সোলায়মান (আঃ) এই সব কাজ দেখে অনেকে বলা শুরু করল তিনি হয়তো যাদুবিদ্যার চচা শুরু করেছন। আল্লাহ্সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াতে বণনা করেন, আল্লাহ্বললেনসোলায়মান কুফরি করেনি,বরং শয়তানরাই কুফরি করেছিলো এখানে আল্লাহ্যাদুকে কুফরি বলে আখ্যা দেন,অথাৎ যে যাদু চচা করবে সেই কাফের হয়ে গেল আর আল্লাহ্ এই আয়াতে নবীর সম্মান রক্ষা করেন। এই আয়াতে আল্লাহ্ বললেন বতমান ইরাকে অবস্থিত বাবেল শহরে হারুত মারুত নামক দুই ফেরেশতা যাদু শিক্ষা দিয়েছিলেন। আল্লাহ্ নিদেশে তারা যাদু বা কালো যাদু সম্পকে মানুষে জ্ঞান পরীক্ষা করার জন্য শিখাতেন। তবে তারা শিখানোর আগে  স্পষ্ট করে দিতেনঃআমরা পরীক্ষার জন্য এসেছি, তুমি এই জ্ঞান ব্যবহার করে কুফরি করো না

অথাৎ তারা শিখানোর আগে বলেদিয়েছিলেন যে যাদু শিখবে তার আখিরাতে তার জন্য কিছু অবশিষ্ট থাকবে না, এই সতক বাতা শুনার পরও কিছু লোক যাদু শিখে তা চচা করে। 

এটি একটি শিক্ষা সতকতার ঘটনা যাতে বোঝানো হয়েছে যে কেউ কোনো জ্ঞান গ্রহণ করলে সেটি কীভাবে ব্যবহার করছে সেটিই আসল বিষয়।

কালো যাদু একটি  অপরাধ কারন এটি সাধারণত মানসিক চাপ, প্রতারণা, ক্ষতি, অন্ধবিশ্বাসের মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। এটি ধমীয়ভাবে নিষিদ্ধ, সামাজিকভাবে অনৈতিক বিভিন্ন দেশে আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য।

 

 

 

Tabassum Omar (Batch# 3229)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *