বিধিনিষেধ শিথিলের পর বরিশালে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে অর্ধেক গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহনের জন্য সরকারিভাবে নির্দেশনা দেওয়া হলেও বরিশালের কোথাও তা বাস্তবায়িত হতে দেখা যায়নি। যদিও জেলার বাস মালিক সমিতির নেতাদের দাবি, সরকারি নির্দেশনা মেনেই সড়কে অর্ধেক বাস নামানো হয়েছে।
আজ বুধবার নগরের নথুল্লাবাদে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই স্বাভাবিক সংখ্যক বাস চলাচল করছে। বাসগুলো সিরিয়াল অনুসারে নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে এসব টার্মিনালে বিআরটিএর কোনো তদারকিও চোখে পড়েনি।

নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে দূরপাল্লার পরিবহন হাওলাদার পরিবহন, সেভেনস্টার পরিবহন, সুগন্ধা পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, অর্ধেক নয়, সব বাসই চলছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, সিরিয়াল ও টাইিমং অনুসারে বিভিন্ন মালিকের গাড়ি চলে। এই সিরিয়াল ভেঙে অর্ধেক গাড়ি চালানোর কোনো উপায় নেই।
নথুল্লাবাদ থেকে জেলা বাস মালিক সমিতির আওতায় ১৯৪টি বাস চলাচল করে। এসব বাস ভুরঘাটা, বানারীপাড়া, স্বরূপকাঠিসহ বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। এসব বাসের কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা একাধিক শ্রমিক বলেন, অর্ধেক গাড়ি চলার কোনো উপায় নেই। সরকার নিয়ম করে দিয়েছে, তাই বলতে হয়। তবে যাত্রী কম।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের ১৯৪টি বাসের মধ্যে ১০০টি চলাচল করছে। অর্ধেক বাসেই যাত্রী কম। যাত্রীসংখ্যা এতটাই কম যে তেল খরচই ঠিকমতো উঠছে না।
অন্যদিকে রূপাতলী থেকে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির আওতায় ১১১টি বাস চলে। এসব বাস বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা ও ভোলা রুটে যাত্রী পরিবহন করে। এই মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ৫৬টি গাড়ি চলাচল করছে। তবে অর্ধেক বাস চলার এ সিদ্ধান্ত করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না। বরং মানুষের দুর্ভোগ বাড়াবে।’