নির্বাচন–পরবর্তী ফলাফল নিয়ে মিশা-জায়েদ পরিষদ ছিল অসন্তুষ্ট।
পরে আবার আপিল বোর্ড তাড়াহুড়া করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে। পরদিনের শপথ অনুষ্ঠানটি ছিল মিশা-জায়েদ প্যানেলের জন্য অস্বস্তিকর। সেখানে মিশা-জায়েদ প্যানেলের কারও উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল না। গত রোববার কেন শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, জানালেন মিশা সওদাগর।

প্যানেলের সিদ্ধান্তের পরও কেন শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মিশা সওদাগর। তিনি বলেছিলেন, নায়ক আলমগীর ও সমিতির নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন তাঁকে ফোন করে সেখানে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁরা দুই পক্ষের সঙ্গেই আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন। মিশা সওদাগর বলেন, ‘এ কারণেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। পরে দুজন গুণী মানুষ যখন আমাকে শপথ পড়াতে বললেন, তাঁদের কথা কি ফেলতে পারি? তাঁরা আমার মুরব্বি। আমার মনে হলো, শুধু সভাপতিকে শপথ পড়াব। এটা একটা ভালো কাজ। তাই আমি রাজি হই।’
তবে সেদিন এফডিসিতে যাওয়ার আগে মিশা সওদাগর নির্বাচিত সহসভাপতি ডিপজলকে ফোন করেছিলেন। ডিপজলও তাঁকে সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সে সময় মিশা ভেবেছিলেন, তাঁদের প্যানেলের সবাইকেই হয়তো এফডিসিতে যেতে বলা হয়েছে। প্যানেলের অন্যদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছিল তাঁর? এ প্রশ্নে মিশা বলেন, ‘আমাকে ডেকেছে, আমি যাচ্ছি। এটা নিয়ে প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করার অর্থ হয় না। আমি কেন সবার পারমিশন নেব? আমাকে ডেকেছেন সিনিয়র ভাইয়েরা, যাঁরা আমাদের গুরু। আমি গিয়েছি, আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। আসার পর আমাকে বলা হয় সভাপতিকে শপথ পড়াতে।’