যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা , পুয়ের্তো রিকো এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বারমুডার মধ্যবর্তী অঞ্চল বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিত । বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝির দিকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও বইয়ে প্রকাশিত গল্পের মাধ্যমে বারমুডার রহস্য নতুন করে সবার সামনে উঠে আসে।যেসব রহস্য প্রচলিত আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বারমুডার কবলে কোন জাহাজ বা প্লেন এলে তা নিখোঁজ হয়ে যেত। বারমুডায় এলে কম্পাসের কাটা এলোমেলো দিক নির্দেশনা দেয়।১৯৬৪ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে লেখা বিভিন্ন বইয়ে বারমুডা সম্পর্কে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা পাওয়া যায়।এসব ঘটনার পেছনে বেশ কিছু কারন উল্লেখ করা হয়।এখানে এলে প্লেন ও জাহাজ কোন মহাজাগতিক জীবের আক্রমনের শিকার হয়। কোথাও বলা হয় যেহেতু কম্পাস ঠিক মতো কাজ করে না তার কারন বারমুডার কোথাও শক্তিশালী চুম্বক আছে । যার প্রবল আকর্ষণে দুর্ঘটনার শিকার হয় ।কিন্তু এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান পাওয়া যায়নি । ১৯৭৫ সালে ল্যারিকুস নামে এক বিজ্ঞানী বিভিন্ন বই গবেষনা করে এবং বারমুডার সমস্ত দুর্ঘটনা অনুসন্ধান করে “THE BARMUDA TRIANGLE MYSTERY” নামে একটি বই প্রকাশ করেন । এখানে তিনি দেখান বারমুডায় যা হয়েছে তা সবই অতি রঞ্জিত সন্দেহমূলক । পরবর্তীতে দেখা যায় দুর্ঘটনায় কবলিত জাহাজ গুলো উদ্ধারের খবর আর পাওয়া যায়নি । যদি এর আশে পাশে কোন ঘটনা ঘটতো তাও বারমুডার বলে চালিয়ে দেয়া হতো। বারমুডায় অনেক জলদস্যুরা বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটাত এবং এর কারণ হিসেবে অলৌকিক হিসেবে চালিয়ে যেতো । আসলে বারমুডা আটলান্টিক মহাসাগর এর বিষুবরেখার কাছাকাছি হওয়ায় এখানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়।পৃথিবীর ভৌগোলিক মেরু এবং চৌম্বকীয় মেরুর অসামঞ্জস্য এর কারণে কম্পাস সঠিকভাবে দিক নির্দেশনা দিতে পারেনা । ফলে বিমান ও জাহাজগুলো দুর্ঘটনার শিকার হতো । আসলে বারমুডাকে নিয়ে লেখকরা বেশি বানিয়ে লিখেছিল।