২০২০ সালে পৃথীবিতে ২,০৯৫ বিলিয়নিয়ার ছিল বলে জানা গেছে, যার আনুমানিক মোট মূল্য ছিল ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তিদের একাউন্ট এ ১,১২৮.৫০ বিলিয়ন ডলার, বা প্রায় ১৮.১১% এই পরিমান। যা খুবই আবাক করার যে যখন আপনি বিবেচনা যে তারা প্রায় ০.৪৮% বিলিয়নিয়ারকে প্রতিনিধিত্ব করে। নিম্নে বর্তমান সময়ের ১০ জন ধনী ব্যক্তি সম্পর্কে জনে নিন।
ইলন মাস্ক(Elon Musk)
বয়স: ৪৯
বাসস্থান : অস্টিন, টেক্সাস
সহ – প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও: টেসলা (টিএসএলএ)
মোট সম্পত্তি: ১৯৭ বিলিয়ন ডলার
টেসলা মালিকানার অংশীদার: ২০% (১৪১ বিলিয়ন ডলার)
অন্যান্য সম্পত্তি: মহাআকাশ গবেষনা প্রযুক্তি (Space Exploration Technologies) (১৮.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যক্তিগত সম্পত্তি)
ইলন রিভ মাস্ক জন্মগ্রহণ করেছিলেন ২৮ শে জুন ১৯, ১৯৭১, দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সওয়াল প্রিটোরিয়া তে। তাঁর মা হলেন মায় মাস্ক, একজন মডেল এবং ডায়েটিশিয়ান। তার পিতা হলেন ইরল মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার তড়িৎ প্রকৌশলী, পাইলট, নাবিক, পরামর্শদাতা এবং সম্পত্তি বিকাশকারী
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, ইলন মাস্কের কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বিভিন্ন সংস্থায় তাঁর হাত রয়েছে।
১৯৯৪ সালে, মাস্ক, তার ভাই কিম্বল এবং গ্রেগ কৌরি ওয়েব সফ্টওয়্যার সংস্থা জিপ২ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গোপন বিনিয়োগকারী এর একটি গ্রুপের তহবিলের সাথে। তিনি স্পেসএক্সএর প্রতিষ্ঠাতা, সিইও, সিটিও এবং প্রধান পরিকল্পনাকারী; টেসলার প্রাথমিক বিনিয়োগকারী, সিইও,এবং পন্য নির্মাণকারী, এছাড়া বোড়িংকোম্পানির প্রতিষ্ঠাত:, নিউরালিংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা; এবং ওপেনএআইএর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাথমিক সহ-চেয়ারম্যান।
জেফ বেজোস (Jeff Bezos)
বয়স: ৫৭
বাসস্থান: সিয়াটল, ওয়াশিংটন( Seattle, Wash)
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা: আমাজন Amazon (AMZN)
মোট সম্পত্তি: ১৮২ বিলিয়ন ডলার
আমাজনএর মালিকানার অংশিদার: ১১.১%(১৬৫ বিলিয়ন ডলার)
অন্যান্য সম্পত্তি : Blue Origin ( ৭.১৫ বিলিয়ন ডলার ব্যক্তি মালিকানা সম্পদ) এবং ৯.৫৫ বিলিয়ন ডলার কেস
বেজোস ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান এ ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি লাভ করেন।
জেফের মায়ের নাম ছিল জ্যাকলিন গিস জরগেনসিন, এবং তাঁর জন্মদাতা পিতার নাম টেড জরগেনসিন।
বেজোস তার গ্যারেজে অল্প কয়েকজন কর্মী নিয়ে তাঁর নতুন কোম্পানীর জন্য সফটওয়্যার তৈরীর কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তাঁরা দুই বেডরুমের একটি এ্যাপার্টমেন্টে কাজ শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে একটি পরীক্ষামূলক ওয়েবসাইট চালু করেন। ১৯৯৫ সালের ১৬ই জুলাই ৩০০ জন বন্ধুকে বেটা টেস্টিং এর জন্য ডেকে সাইট উদ্বোধন করেন। সাইটের নাম দেয়া হয় দক্ষিন আমেরিকার বহুশাখা বিশিষ্ট নদী আমাজন এর নামে।
২০০৬ সালে আমাজন ডট কম পন্য বিক্রয়ের পাশাপাশি তাদের “Video on Demand” সার্ভিস চালু করল, যার প্রাথমিক নাম ছিল “Amazon Unbox” – পরবর্তীতে যা “Amazon instant Video” নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
২০০৭ সালে আমাজন তাদের ডিজিটাল বই পড়ার একটি স্মার্ট ডিভাইস “Kindle” বাজারে ছাড়লো, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বই পড়ার পাশাপাশি বই কেনা, ডাউনলোড, ও স্টোর করার সুবিধা পেলেন।
বেজোস ২০০১ সালে ‘Kindle Fire’ বাজারে ছাড়ার মাধ্যমে ট্যাব মার্কেটে প্রবেশ করেন। পরবর্তী সেপ্টেম্বরে তিনি নতুন কিন্ডলে ফায়ার এইচডি’র ঘোষণা দেন, যেটির ডিজাইন করা হয়েছিল এ্যাপলের আই প্যাডের সাথে প্রতিযোগীতা করার জন্য।
২০১৩ সালের আগস্ট মাসের পাঁচ তারিখে বিশ্বখ্যাত পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট এর সমস্ত প্রকাশনা কিনে নিয়ে পৃথিবীর প্রায় সবগুলো বড় নিউজ এজেন্সীর খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বেজোস।
বিল গেটস (Bill Gates)
বয়স: ৬৫
বাসস্থান: Medina, Washington
সহ – প্রতিষ্ঠাতা: মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনের
মোট সম্পত্তি:: ১৩২ বিলিয়ন ডলার
মাইক্রোসফ্ট এর মালিকানা অংশিদার: ১.৩%(২২ বিলিয়ন ডলার)
উইলিয়াম হেনরি গেটস তৃতীয় (জন্ম ২৮ অক্টোবর, ১৯৫৫) একজন আমেরিকান ব্যবসায়িক মহারথী, সফটওয়্যার বিকাশকারী, বিনিয়োগকারী, লেখক এবং সমাজসেবী। তিনি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। মাইক্রোসফ্টে কর্মজীবন চলাকালীন গেটস চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সফটওয়্যার আর্কিটেক্টের পদে ছিলেন এবং মে ২০১৪ অবধি বৃহত্তম স্বতন্ত্র শেয়ারহোল্ডারও ছিলেন। তিনি ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকের মাইক্রোকম্পিউটার বিপ্লবের অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা এবং পথিকৃৎ।
গেটস ওয়াশিংটনের সিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। ১৯৭৫ সালে তিনি নিউ মেক্সিকো এর আলবুকার্কে শৈশবের বন্ধু পল অ্যালেনের সাথে মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; যা পরবর্তীতে বিশ্বের বৃহত্তম ব্যক্তিগত কম্পিউটার সফ্টওয়্যার সংস্থা হয়ে উঠে।
১৯৮৭ সাল থেকে, তিনি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের ফোর্বসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ অবধি তিনি চারবছর বাদে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ফোর্বস খেতাব অর্জন করেছিলেন। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেফ বেজোস গেটসকে সরিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী হয়েছিলেন। ] ২০২১ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত, গেটসের মোট মূল্য ছিল ১৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তাকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি বানিয়েছে।
বার্নার্ড আরনাউল্ট (Bernard Arnault)
বয়স: ৭১
বাসস্থা: প্যারিস, ফ্রান্স
মোট সম্পত্তি: ১০৯ বিলিয়ন ডলার
Christian Dior মালিকানা অংশিদার: ৯৭.৫%(৯২.৮ বিলিয়ন ডলার)
বার্নার্ড আরনাউল্ট ৫মার্চ ১৯৪৯ সালে জন্ম গ্রহন করেন, তিনি একজন ফরাসি বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী এবং শিল্প সংগ্রাহক। তিনি এলভিএমএইচ মোট হেনেসির- লুই ভিটন এসই, চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী , বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল পণ্য সংস্থা
ফ্রান্সের অন্যতম ধনী ব্যক্তি, বার্নার্ড আর্নল্ট, যার ভাগ্য, ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে, সত্রিশ বিলিয়ন ইউরো অনুমান করা হয়েছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই সাফল্যের পিছনে ছিল। ১৯৮৯ সাল থেকে, তিনি এলভিএমএইচ (মোয়েট হেনেসি লুই ভিটন) এর প্রধান, যিনি বিলাসবহুল পণ্য উত্পাদন ও বিক্রয় শীর্ষনেতা ছিলেন।
মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg)
বয়স: ৩৬
বাস্থান: Palo Alto, California
সহ – প্রতিষ্ঠাতা,সিইও, এবং চেয়ারমেন : ফেসবুক
মোট সম্পত্তি: ৯৫.৬ বিলিয়ন ডলার
ফেসবুক মালিকানা অংশিদার: ১৩%(৯২.৫ বিলিয়ন ডলার
অন্যান্য সম্পত্তি: ২.৮৮ বিলিয়ন ডলার
মার্ক জাকারবার্গ, মার্ক জুকারবার্গ বা মার্ক যুকারবার্গ (ইংরেজি: Mark Elliot Zuckerberg; জন্ম: ১৪ মে, ১৯৮৪) একজন আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ, যার আসল পরিচিতি হলো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। তিনি বর্তমানে ফেইসবুকের চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নিয়ন্ত্রক অংশীদার।
জাকারবার্গের জন্ম নিউ ইয়র্কের হোয়াইট প্লেইনসে। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন এবং সেখানেই তার সহপাঠী এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন, এন্ড্রু ম্যাককলাম, ডাস্টিন মস্কোভিটজ এবং ক্রিস হিউজের সাথে ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ফেইসবুক প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমদিকে শুধু কলেজ ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে চালু করা হলেও এটি খুব দ্রুত বিস্তার লাভ করে এবং ২০১২ সাল নাগাদ ১০০ কোটি ব্যবহারকারীতে পৌঁছে। ২০০৭ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ আত্মকৃত বিলিয়নেয়ার হন। ২০২০ সালের নভেম্বর নাগাদ জাকারবার্গের নিট সম্পদ প্রায় ৯.৭ বিলিয়ন ডলার, যা তাকে বিশ্বের ধনী ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছে। ফোর্বসের সবচেয়ে ধনী ২০ ব্যক্তিদের তালিকায় ৪০ বছরের কম বয়সী তিনিই একমাত্র ব্যক্তি। ২০১০ সাল থেকে টাইম ম্যাগাজিন বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব পুরষ্কারের অংশ হিসাবে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে জাকারবার্গের নাম ঘোষণা করেছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাকারবার্গ ফোর্বসের প্রকাশিত পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিদের তালিকায় দশম স্থানে ছিলেন।
ওয়ারেন বাফেট( Warren Buffett)
বয়স: ৯০
বাসস্থান: ওমাহা, নাব্রাসকা, যুক্তরাষ্ট্র
সিইও: বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে
মোট সম্পত্তি: ৮৮.৩ বিলিয়ন ডলার
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে মালিকানা অংশিদার: ৩৮%(৮৭.১ বিলিয়ন ডলার)
অন্যান্য সম্পত্তি: ১বিলিয়ন ডলার
পৃথিবীর সর্বকালের সেরা ইনভেস্টর ও উদ্যোক্তাদের একজন তিনি। জেদের বশে লোকসানের মুখে বন্ধ হতে যাওয়া বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কিনে নিয়ে তাকে পৃথিবীর সেরা ১০টি কোম্পানীর একটি বানিয়েছেন।
বিশ্ব ইতিহাসে শেয়ার প্রতি সর্বোচ্চ মূল্য ওয়ারেন বাফেটের কোম্পানীর। প্রতিটি ক্লাস ‘এ’ শেয়ারের মূল্য ৩ লাখ ডলারের বেশি! ২০১৩ সালে তাঁর দৈনিক আয় ছিল ৩৭ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদ ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জ্যাক মা, ইলন মাস্ক এর মত বিশ্বখ্যাত উদ্যোক্তাদের চেয়ে এই সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ।
১৯৩০ সালে আমেরিকার নাব্রাসকা প্রদেশের ওমাহায় স্টক ব্রোকার (পরবর্তীতে কংগ্রেস ম্যান) হাওয়ার্ড বাফেট ও লেইলা বাফেট এর ঘরে জন্ম নেন তাঁদের এক মাত্র পুত্র ওয়ারেন বাফেট। ৩ ভাইবোনের মাঝে ওয়ারেন ছিলেন দ্বিতীয়।
ওয়ারেন বাফেটের প্রথম স্কুল ছিল, ওমাহার ‘রোজ এলিমেন্টারি স্কুল। ১৯৪৭ সালে তিনি উডরো উইলসন হাইস্কুল থেকে স্কুল গ্রাজুয়েট হিসেবে বের হন।
১০ বছর বয়সে তিনি নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন করেন। ১১ বছর বয়সে নিজের জন্য ৩টি ও তাঁর বোন ডরিস এর জন্য ৩টি “সিটিজ সার্ভিস” এর শেয়ার কেনেন। এবং কিছু লাভ করেন।
১৯৪৭ সালে বাফেট ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ায় ভর্তি হন। সেখানে দুই বছর পড়ে ইউনিভার্সিটি অব নাব্রাসকায় ট্রান্সফার হন, এবং ১৯ বছর বয়সে সেখান থেকে ব্যবসা প্রশাসনে বিএসসি শেষ করেন।
তিনি ১৯৫১ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত Buffett-Falk & Co. এ একজন ইনভেস্টমেন্ট সেলস ম্যান হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৪ থেকে ৫৬ পর্যন্ত Graham-Newman Corp. এ একজন সিকিউরিটি এ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত তিনি Buffett Partnership, Ltd. এর একজন জেনারেল পার্টনার হিসেবে কাজ করেন। অবশেষে ১৯৭০ সাল থেকে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে এর চেয়ারম্যান ও সিইও হন।
ঝং শানশান (Zhong Shanshan)
বয়স:৬৬
বাসস্থান: হংকজু, চীন
প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, নির্বাহী পরিচালক, এবং মহাব্যবস্থাপক: নংফু স্প্রিং(Nongfu Spring)
মোট সম্পত্তি: ৮৪.৭ বিলিয়ন ডলার
নংফু স্প্রিং এর মালিকানা অংশিদার: ৮৪%(৭৬.৫ বিলিয়ন ডলার)
অন্যান্য সম্পত্তি: বেইজিং ওয়ান্টাই ফার্মাসি এন্টারপ্রাইজ ইক্যুইটি(১৩.৭ বিলিয়ন
ই- কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপের চেয়ারম্যান জ্যাক মাকে সরিয়ে এবার চীনের শীর্ষ ধনী হলেন ঝং শানশান। বোতলজাত পানি বিক্রি করেই ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে চীনের ধনীর তালিকায় শীর্ষস্থানে চলে এসেছেন তিনি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ঝং শানশান ১৯৯৬ সালে ঝেজিয়াং প্রদেশে প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর পানি বিক্রির কোম্পানি নংফু স্প্রিং। সম্প্রতি তাঁর কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ায় এবং যে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানির অংশীদার তিনি সেই অংশের দর বেড়ে যাওয়ায় তাঁর ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
ঝং পরিচিত বেশি লোন উলফ নামে। বর্তমানে এশিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী তিনি। তার আগে আছেন ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান মুকেশ আম্বানি। এ ছাড়া বিশ্ব-৫০০ ধনীর তালিকায় জংয়ের অবস্থান ১৭ তে।
এপ্রিলে ঝংয়ের বেইজিং ওয়ান্টাই বায়োলজিকাল ফার্মাসি এন্টারপ্রাইজ চীনা শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কেবল আগস্টে ফার্মে তার নিয়ন্ত্রণকারী অংশটির সম্পদ ২ হাজার কোটি ডলার বেড়েছে। অন্যদিকে এই মাসের শুরুতে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম দিনই নংফু স্প্রিংয়ের শেয়ারের দর ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। দেশের ছোট বড় সব ধরনের স্টোরেই মেলে নংফু স্প্রিংয়ের পানি। কোম্পানিটি চা, স্বাদযুক্ত ভিটামিন পানীয় এবং জুসও বিক্রি করে।
ল্যারি পেইজ( Larry Page)
বয়স: ৪৭
বাসস্থান: পলো অল্টো, ক্যালিফোর্নিয়া।
সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড সদস্য: Alphabet (GOOG)
মোট সম্পত্তি: ৮১.৭ বিলিয়ন ডলার
Alphabet মালিকানা অংশিদার: ৬%(৬৯.২ বিলিয়ন ডলিার)
অন্যান্য সম্পত্তি: ১২.৫ বিলিয় ডলার
লরেন্স “ল্যারি” পেইজ (ইংরেজি: Lawrence “Larry” Page; জন্ম: ২৬শে মার্চ ১৯৭৩) একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। তিনি সের্গেই ব্রিন এর সাথে গুগল প্রতিষ্ঠা করেন।
পেইজ হলেন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান আলফাবেট ইনকর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী অফিসার। গুগলের সিইও হিসেবে ২০০১ সালের আগস্ট মাসে পদত্যাগ করার পর, এরিক এমারসনের পক্ষে, তিনি ২০১১ সালের এপ্রিলে আবার একই পদে আসীন হন। তিনি ২০১৫ সালের জুলাই মাসে এলফাবেটের সিইও হবার জন্য আবারও পদত্যাগের ঘোষণা দেন, যার অধীনে গুগলের সম্পদসমূহ পুনর্সজ্জিত করা হবে। পেইজের অধীনে থাকাবস্থায় এলফাবেট বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে বড় আকারের উন্নয়ন সাধন করতে ইচ্ছুক।
অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত তিনি বিশ্বের ১২তম ধনী ব্যক্তি, তার ব্যক্তিগত সম্পদ আনুমানিক ইউএস$ ৪৭ বিলিয়ন (জুলাই ২০১৭)
পেইজ হলেন পেইজ-র্যাংক এর উদ্ভাবক, যা গুগলের সার্চ র্যাংকিং এলগরিদম হিসেবে বেশি পরিচিত। তিনি ২০০৪ সালে মার্কনি পুরস্কার পান।
সের্গেই ব্রিন( Sergey Brin)
বয়স:৪৭
বাস্থান: লস আল্টোস, ক্যালিফোর্নিয়া
সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড সদস্য :Alphabet (GOOG)
মোট সম্পত্তি: ৭৯.১ বিলিয়ন ডলার
Alphabet মালিকানা অংশিদার: ৫%(৬৬.৫ বিলিয়ন ডলার)
অন্যান্য সম্পত্তি: ১২.৬ বিলিয়ন ডলিার
জন্ম: ২১শে আগস্ট, ১৯৭৩) একজন রুশ বংশোদ্ভুত মার্কিন কম্পিউটার প্রকৌশলী ও ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। তিনি সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
সের্গেই ব্রিন ১৯৭৩ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কোতে একটি ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাইকেল ব্রিন ও মাতার নাম ইউজেনিয়া ব্রিন। মাইকেল ব্রিন ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর গণিতের শিক্ষক ও ইউজেনিয়া ব্রিন নাসারগোডার্ড খেয়াযান নিক্ষেপণ কেন্দ্রের গবেষক। ব্রিন ছয় বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হন।
২০০৪ সালে এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ সেরগেই ব্রিনকে ‘পারসন অফ দ্য উইক’ ঘোষণা করে। ২০০৫ সালে ব্রিন অন্যতম ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ হিসাবে মনোনীত হন। টেসলা মোটরসের অন্যতম কর্ণধার সেরগেই ব্রিন ইলেকট্রিক চালিত যানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
ল্যারি এলিসন(Larry Ellison)
বয়স: ৭৬
বাসস্থান: উডসাইড, ক্যালিফোর্নিয়া
সহ-প্রতিষ্ঠাতা, সিটিও, এবং চেয়ারম্যান : ওরাকল-Oracle (ORCL)
মোট সম্পত্তি: ৭৯.১ বিলিয়ন ডলার
ওরাকল মালিকানা অংশিদার: ৩৫.৪%(৫১.৫বিলিয়ন ডলার)
অন্যান্য সম্পত্তি: টেসলা ইক্যুইটি(১২.৫ বিলিয়ন ডলার) এবং ১৪.৩ বিলিয়ন ডলার কেশ
ল্যারি এলিসন (জন্ম আগস্ট ১৭, ১৯৪৪) তার পুরো নাম লরেন্স জোসেফ এলিসন। তবে প্রযুক্তি বিশ্ব তাকে একনামে চেনে ল্যারি এলিসন হিসেবেই। তিনি ওরাকল কর্পোরেশনের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। ১৯৪৪ সালের ১৭ আগস্ট জন্মগ্রহণ করা ল্যারি তার শিক্ষাজীবনে ছিলেন অত্যন্ত অমনোযোগী। বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত সফলভাবে তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি। এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে পড়ার সময়ে তিনি প্রথম পরিচিত হন কম্পিউটার ডিজাইনের সাথে। ১৯৬৪ সালে তিনি স্থায়ীভাবে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়াতে চলে আসেন। সত্তরের দশকে তিনি এমডাল কর্পোরেশনের কাজ শুরু করেন। এখানে তার একটি কাজ ছিল সিআইএ’র জন্য ডাটাবেজ তৈরি করা। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি উৎসাহী হয়ে ওঠেন ডাটাবেজ নিয়ে কাজ করতে। ১৯৭৭ সালে তিনি গড়ে তোলেন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিজ। পরে ১৯৭৯ সালে এরই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ওরাকল। দুই সন্তানের জনক ৬৯ বছর বয়স্ক ল্যারি এলিসনের সম্পদের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ার উডসাইডে।