ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নিয়ে কথা বলতে চান না অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। বরং তিনি নাটক-সিনেমা, অভিনয় নিয়ে কথা বেশি আগ্রহী।

ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের একজন সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারও। ফেসবুকে তার একটি ভেরিফায়েড পেজ আছে, সেখান প্রায় ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ( ১৭ লাখ) ফলোয়ার তাকে অনুসরণ করেন। এই পেজেই সমকালীন ঘটে যাওয়া নানা ইস্যুতে শবনম ফারিয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সরব অংশগ্রহণ করেন।

সেই জায়গা থেকে ইত্তেফাক অনলাইনের পক্ষ থেকে ইভ্যালির বর্তমান ইস্যুতে ভুক্তভোগী জনসাধারণের জন্য একজন সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার বা সেলিব্রেটি হিসেবে তার ব্যক্তিগত মতামত কি জানতে চাওয়া হয়েছিলো। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার আসলে কোনো মন্তব্য নেই। কারণ, আমি এর ভেতরের কোনো কিছুই জানি না। যদি কখনো জানতে পারি তাহলে, তখন আমি এই বিষয়ে কথা বলবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে যদি নাটক, অভিনয়, সিনেমা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে আমি বলতে পারবো। কিন্তু এই বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারবো না।’ইভ্যালি নিয়ে কথা বলতে চান না অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।

চলতি বছরের জুনে ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন শবনম ফারিয়া। প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া এবং কমিনিকেশন্স প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ডাবল টাকা ভাউচার, ৪৫ ভাগ ছাড়ে (ডিসকাউন্টে) মোটোরসাইকেল বিক্রিসহ নানা কার্যক্রম দিয়ে শুরু থেকেই নিজেদের আলোচনায় রেখেছে দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। যার মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় ছিল সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার সেলিব্রেটিদের নিয়োগ দেওয়া। যারা প্রত্যেকেই ইভ্যালির জন্মের আগে থেকেই নিজেদের গুণে পরিচিত। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বহুল জনপ্রিয়। যার কারণে তাদের সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।

নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া, সঙ্গীত শিল্পী তাহসান খান এবং সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার আরিফ আর হোসাইন। এরমধ্যে প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) হিসেবে আরিফ আর হোসাইন, চিফ গুডনেস অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান সঙ্গীত শিল্পী তাহসান খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *