কঙ্গো শান্তিরক্ষা মিশনে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া আর মরক্কোকে পেছনে ফেলে আভিযানিক দক্ষতা ও সক্ষমতায় সেরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কন্টিনজেন্ট।
জাতিসংঘ সদর দফতরের মূল্যায়নে ১০০ তে ৯৪ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশের তড়িৎ মোতায়েনযোগ্য বাহিনী ব্যান-আরডিবি। কঙ্গোর শান্তিরক্ষা মিশনের কুড়ি বছরের ইতিহাসে এটাই কোনো কন্টিনজেন্টের অর্জন করা সর্বোচ্চ পয়েন্ট।স্থায়ী কোনো ক্যাম্প থেকে নয়, যেকোনো সময় যেকোনো দুর্গম এলাকায় গিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে অভিযান চালানোর নীতিতে ২০১৮ সাল থেকে চলছে র্যাপিডলি ডেপ্লয়অ্যাবল ব্যাটালিয়ন বা ত্বরিত মোতায়েনযোগ্য পদাতিক বাহিনী দিয়ে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম। বাংলাদেশ থেকে ১৬ গুণ বড় আয়তনের, মোটে ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তার কঙ্গোতে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হয় কমান্ডোদের।
ডেমোক্রেটিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘ মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনা কন্টিনজেন্ট প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। বর্তমানে কঙ্গোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নসহ পাঁচটি কন্টিনজেন্ট শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আজ শুক্রবার আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
ওই কন্টিনজেন্টগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার (কনস্ট্রাকশন) কোম্পানির ১৮০ জন সদস্যকে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। খবর বাসসের।
আজ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৮০ জন শান্তিরক্ষী কঙ্গোর উদ্দেশে জাতিসংঘের ভাড়া করা বিমানে ঢাকা ত্যাগ করেন।
সেনাসদরের ইঞ্জিনিয়ার্স পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইফুর রহমান এ সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন লাউঞ্জে তাঁদের বিদায় জানান। এ উপলক্ষে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। কঙ্গোর বিবদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারি ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার ও জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে।