পিএসজিকে স্বপ্নের চ্যাম্পিয়নস লিগটা জেতাতে পারেননি। গত মৌসুমের শেষটা হয়েছে হতাশায়। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেও বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে পিএসজিকে হেরে যেতে দেখেছেন নেইমার।

এর মধ্যে আগামী মৌসুমের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যাচ্ছে বলে! হাতে সময় খুব বেশি ছিল না।
একে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হারের কষ্ট, অন্যদিকে ক্লান্তি ঝরিয়ে নতুন মৌসুমের জন্য চাঙা হয়ে ফেরা…দুই উদ্দেশেই ইবিজার সমুদ্রসৈকতে আয়েশে কিছুদিন কাটাতে গিয়েছিলেন নেইমার।
ফিরলেন দুঃসংবাদ নিয়ে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
নেইমারের সঙ্গেই ইবিজাতে থাকা অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেসের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল ফরাসি সংবাদমাধ্যম। ফরাসি ক্রীড়াদৈনিক লে’কিপ আজ জানিয়েছে,
পিএসজির তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে নেইমার করোনায় আক্রান্ত হলেন।
পিএসজি অবশ্য কোনো খেলোয়াড়ের নাম বলেনি। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে শুধু লিখেছে, ‘পিএসজির তিন খেলোয়াড় কোভিড টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন। তাঁরা সবাই যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষার নীতি মেনে চলবেন।
আগামী কয়েক দিনে সব খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারই টেস্ট করা হবে।’
ফ্রেঞ্চ লিগের নতুন মৌসুম শুরু হয়ে গেছে গত ২১ আগস্টেই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে খেলা লিওঁ ও ফাইনালে খেলা পিএসজিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই দুটি দলের লিগ মৌসুম শুরু হচ্ছে দেরিতে।
সেমিফাইনালে খেলা লিওঁ অবশ্য মাঠে নেমে গেছে গত ২৯ আগস্ট। পিএসজির লিগ শুরু হবে ১০ সেপ্টেম্বর লেঁসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এর তিন দিন পর পিএসজির ম্যাচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মার্শেইয়ের বিপক্ষে।
তার আগে আবার ইউরোপে আন্তর্জাতিক ম্যাচের বিরতিও আছে। নেশনস লিগ শুরু হচ্ছে কাল থেকে। যে কারণে পিএসজির ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়েরা কেউ জাতীয় দলে চলে গেছেন, কেউ আছেন ছুটিতে।
তবে অ-ইউরোপীয় খেলোয়াড়দের এই সপ্তাহেও ছুটি দিয়েছিল পিএসজি। সেই ছুটির ফল এমন হবে, তা যদি জানত! ডি মারিয়া, পারেদেস, নেইমার সবাই একসঙ্গে ইবিজায় ছিলেন। এঁদের সঙ্গে ছিলেন আন্দের এরেরা, মাউরো ইকার্দি ও কেইলর নাভাসও।