চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়ার প্রবণতা অব্যাহত আছে। দেশের বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, অন্তত ৮ শতাংশ জীবাণু সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক–প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সব পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এ বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) আয়োজিত সেমিনারে বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা এসব কথা বলেন।
আইইডিসিআর ৯টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও কার্যকারিতার প্রবণতার ওপর ২০১৭ সাল থেকে নজরদারি করছে। এসব হাসপাতাল থেকে তারা নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেমিনারে ছয় বছরের নজরদারির তথ্য উপস্থাপন করেন আইইডিসিআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক জাকির হোসেন।
জাকির হোসেন বলেন, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বেশ কিছু রোগের জীবাণুর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ঠিকমতো কাজ করছে না। কাজ না করার প্রবণতা আগের চেয়ে বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ৬ হাজার ৮৬৮ জন রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ৮ শতাংশ জীবাণুর ক্ষেত্রে সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার মতো ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার প্রবণতা হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর ক্ষেত্রে বেশি দেখা গেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক জাকির বলেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউতে একই সমস্যা আছে। তুলনামূলকভাবে পরিমাণে কম হলেও সার্জারি ও মেডিসিন বিভাগে এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
অ্যান্টিবায়োটিক জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। অযৌক্তিক ও যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে ওষুধটি অকার্যকর হয়ে পড়ছে। বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, এটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়; সমস্যা।