কুরআন শিক্ষা

কুরআন কি? কুরআন হলো আল্লাহর কিতাব। আল্লাহর বানী। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর উপর কুরআন নাযীল হয়। আমরা কোরআন থেকে গোটা বিশ্ব সম্পর্কে জানতে পারি। যা কোন কিতাব থেকে সম্ভব নয়। দুনিয়ার শুরু থেকে শেষ যা কিছু হবে তার সবই কুরআনে স্পস্ট করে এবং সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ আছে। আমাদের প্রত্যেক মুসলমানদের উপর কোরআন শিক্ষা করা ফরয করা হইয়াছে। কিন্তু আমরা তা না করে আমরা উল্টা করে থাকি। তাই আমাদের পৃথিবীতে এতা সমস্যা। যার ভবিষ্যৎ বানী মহান আল্লাহ কুরআনে বলেছেন এবং এগুলো সবই আমাদের কর্মের ফল।

কুরআন শিক্ষা= আল্লাহ যে ভাবে কুরআন শিখতে বলেছেন তার উল্টা হওয়ায় আমরা এর থেকে বিমুখ হইয়া পড়ছি। যার দ্বারা শিক্ষা দেওয়া উচিত তা না করে আমরা একজন নতুন হুজুর দিয়ে কোরআন শিখায়। আল্লাহ নিজে আমাদের রসুল কে কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন ফেরেস্তো জিব্রাইল আঃ এর মাধ্যমে। যার কারনে  সকল ফেরেস্তার সেরা তিনি। আবার আমাদের নবীর উপর কুরআন নাযীল হওয়ায় তিনিও বিশ্বের শ্রেষ্ট মহামানব, শ্রেষ্ট নবী ও সর্বশেষ নবী।

তাহলে আমরা যদি কোরআন শিখি তাহলে আমরাও শ্রেষ্ট হইয়া যাইব।

বর্তমান প্রেক্ষাপট= মসজিদ, মাদ্রাসা যেখানেই যান। দেখা যাবে যে বেশী কোরআন সম্পর্কে দক্ষ তার দ্বারা না শিখিয়ে একজন খাদেব, মুয়াজ্জিন বা ছাত্র দ্বারা নতুনদের কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। ফলে তাদের বোঝানোর ক্যাপসিটি ভালো না হওয়ায় ও একটা লাঠি হাতে থাকায় ছাত্র রা ভয়ে কিছুদিন পরে তারা ছিটকে পড়ে।

ফিরিস্তা জিব্রাইল (আঃ) যখন কোরআন নিয়ে আমাদের নবীর কাছে আসেন তখন তিনি প্রথমে বলেন ইকর্ অর্থাৎ পড়। উত্তরে আমাদের দয়াল নবী বললেন আমি পড়তে পারি না। এভাবে তিন বার হলো। ৪র্থবারে তিনি বুকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বিশ্বনবীর মধ্যে পড়ার জ্ঞান চলে আসলো। তিনি পড়তে পারলেন। আমাদের বর্তমান সমাজে ছাত্ররা পড়তে না পারলে আদর বুকে জড়িয়ে ধরা, ভালো কথা বলা তো দূরে থাক যেভাবে ছাত্রদের উপর নির্যাতন, অত্যাচার করা হয়। তার বর্ণনা খুবই ভয়াবহ। ফলে অনেক ছাত্র ঝরে যায়। কুরআন শিক্ষার জন্য আমরা ইমাম কে দায়িত্ব না দিয়ে মুয়াজ্জিন বা খাদেমের উপর দায়িত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের এ ব্যবস্থা চেঞ্জ করতে হবে।  মোঃ আফজাল হোসেন-(২৪০)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *