বাংলাদেশ ০-০ নেপাল
প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ম্যাচে খুঁজে পাওয়া গেল না। নাবীব নেওয়াজ জীবন, মাহবুবুর রহমান সুফিলদের আক্রমণের ধার যেন কোথায় হারিয়ে গেল আজ। নেপাল হারের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তার কিছুই দেখা যায়নি। দুই দলের গা ছাড়া ফুটবলে গোলশূন্য ড্র হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিতীয় ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি।

কেমন হয়েছে ম্যাচটি, তা একটি তথ্য দিলেই পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। দুই অর্ধ মিলিয়ে দুই দলের গোলরক্ষকের একজনকেও কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। বলা ভালো পরীক্ষা নিতে পারেনি কোনো দল। দু–একটি বল বার উঁচিয়ে বেরিয়ে গেছে বা ভালো মুভ হয়েছে । এ ছাড়া শেষ দিকে নেপাল ফরোয়ার্ড নবযুগ শ্রেষ্ঠার একটি হেড সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসা ছাড়া ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখযোগ্য লেখার মতোই কিছু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
দুই দলই নিজেদের রক্ষণভাগ দূর্ভেদ্য করে রেখেছিল। বারবার আক্রমণ উঠলেও গোলকিপারকে বড় কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। দ্বিতীয় মিনিটে সাদ উদ্দিনের ক্রস নেপাল গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমা হয়। একটু পর তেজ তামাংয়ের দূরপাল্লার শট সহজেই গ্লাভসে নেন এক ম্যাচ পর ফেরা রানা। ২৩তম মিনিটে জীবনের ছোট পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সুমন রেজার শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। ৭ মিনিট পর প্রতি-আক্রমণ থেকে ভালো সুযোগ পেলেও দুর্বল শটে মিস করেন করেন জীবন।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আগের ম্যাচে দারুণ গোল করা সুফিলকে বদলি নামানো হয়। ৫১তম মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষ গোলপোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। ৫৯তম মিনিটে সুফিলের ছোট পাসে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি মানিক মোল্লা। ৬১ মিনিটে মানিক ও ইব্রাহিমকে তুলে বিপলু আহমেদ ও সোহেল রানাকে নামায় বাংলাদেশ। ৬৭তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ঢুকেও পোস্টে শট নিতে পারেননি জীবন। এভাবেই শেষ হয় গোলশূন্য ম্যাচ।

- এবার আর বল জালে জড়ানো হলো না সাদ-উদ্দিনদের
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে অন্য রকম এক দৃশ্যও দেখা গেল মাঠে। পূর্ব গ্যালারি থেকে মাঠে নেমে আসেন এক দর্শক। মাঠে ঢুকে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন তিনি। নিরাপত্তাকর্মীরা মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যান তাঁকে।