গ্রামীন কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস হতে পারে কৃষি ব্যবসা

 

করোনাকালে চাকরি হারিয়ে বা ঝুঁকি এড়াতে এখন অনেকেই গ্রামে ফিরছেন। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও চলে এসেছেন অনেক মানুষ। এইসব মানুষের কর্মসংস্থান করতে না পারলে গ্রামীণ অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। সামনের দিনে কৃষি ব্যবসা ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পই গ্রামীণ কর্মসংস্থানের মূল উৎসে পরিণত হবে। বিশেষ করে দুগ্ধ, মাংস, শস্য, পোলট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের মাধ্যমেই চাকরি বা উদ্যোক্তা তৈরি হবে।

গত ২৩শে জুলাই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস বিভাগ ও বাংলাদেশ এগ্রিবিজনেস সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজনে ‘করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে এগ্রিবিজনেস ও তথ্যপ্রযুক্তি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেশনে এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এগ্রিবিজনেস সোসাইটির সদস্য মো. আসিফ নেওয়াজ এবং ফারজানা তাসনিম সিমরান।

আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বঙ্গ মিলারস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ শাহান শাহ্ আজাদ, ইউএনডিপির মাইক্রো মার্চেন্টস ইনেসিয়েটিভের প্রজেক্ট লিড সারা জীতা, যমুনা টেলিভিশনের বিজনেস এডিটর সাজ্জাদ আলম খান (তপু)  ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক

সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।

এছাড়া সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা আলোচনায় অংশ নেন।

কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও কৃষি ব্যবসা খাতের গুরুত্ব উপস্থাপন করে মোহাম্মদ শাহান শাহ আজাদ বলেন, কৃষি খাতকে শিল্পায়নের সঙ্গে দ্রুত যুক্ত করতে হবে। গ্রামের মানুষের আরো তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছাতে হবে। পণ্য বিপণনের জন্য কৃষক ও খামারিদেরকে অনলাইন বিপণন কৌশলকে কাজে লাগাতে হবে।

কৃষি শিক্ষা ও বর্তমান কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্ব তুলে ধরে সাহানোয়ার সাইদ শাহীন বলেন, সামনের দিনে বাংলাদেশে এগ্রিবিজনেসের ওপর যারা পড়াশোনা করবে তারাই চাকরি ও উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে। গ্রামে মানুষ ফিরে যাচ্ছে সেখানে কৃষিভিত্তিক ছোট ব্যবসা এবং বিপণন কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে। বৈশ্বিক ও দেশের বাজারে কৃষি পণ্যের ব্যপক চাহিদা মেটাতে দেশের কৃষক ও উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

ইউএনডিপির প্রজেক্ট লিড ও বাংলাদেশ ই-ক্যাবের নির্বাহী সদস্য সারা জীতা করোনাকালীন  ও বন্যা পরিস্থিতিতে গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক প্রযুক্তি সেবা ও ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করার করণীয় ও বেশ কিছু উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনা করেন। কৃষি বাজার সম্প্রসারণ করতে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ছাড়াও অনলাইনভিত্তিক আরো কিছু উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।

অর্থনীতির উন্নয়নে গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্ব উপস্থান করে যমুনা টিভির বিজনেস এডিটর সাজ্জাদুল আলম খান তপু বলেন, করোনাকালীন এগ্রিবিজনেস চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে এগ্রিবিজনেস সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি আরো গতিশীল হবে। তবে যেকোন ব্যবসার ক্ষেত্রে মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমাদের ব্যবসা ও পণ্যের মান নিয়ে আরো কাজ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *