কসময় ঘড়ি বলতে ছিল ছায়াঘড়ি, এল জলঘড়ি, বালুঘড়ি। কালের বিবর্তনে এই ঘড়িতে এসেছে নানা পরিবর্তন। ঘড়ির এই বিবর্তন তুলে ধরতে রাজধানীর বনানীর ১১ নম্বর সড়কে নিজেদের শোরুমে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ফ্যাশন হাউস কিউরিয়াস। ২৬ অক্টোবর প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হয়েছে, চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। সময় বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা।
ঢুকতেই
র কিউরেটর ও কিউরিয়াসের প্রধান ডিজাইনার চন্দ্রশেখর সাহার সঙ্গেও দেখা। আরও উপস্থিত ছিলেন ডিজাইনার মাইনুল ইসলাম ও কারুশিল্পীরা। চন্দ্রশেখর সাহা জানান, দুই বছর আগে এক আলাপচারিতায় একসঙ্গে ঘড়ি নিয়ে কিছু করার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। কারুশিল্পী ও ডিজাইন টিম মিলে প্রদর্শনীর ঘড়িগুলো তৈরি করেছেন। তাঁর ডিজাইন টিমের প্রধান মাইনুল ইসলাম এবং কারুশিল্পীদের কৃতিত্বের কথা বিশেষভাবে বললেন চন্দ্রশেখর সাহা।
আয়োজনে বিভিন্ন রকম ঘড়ির দেখা মিলল। ফেলে দেওয়া পুরোনো জিনিসপত্র জড়ো করে নতুন কিছু করার তাড়না থেকেই পুরোনো কাঠ, তালা দিয়ে এগুলো তৈরি হয়েছে। কোনো ঘড়িতে বৃক্ষের উপস্থিতি, কোনোটায় চামড়া, ডিজিটাল প্রিন্ট, কারচুপি ও কাঠের ব্যবহার। প্রতিটি ঘড়িরই নাম আছে, পাশে ছোট ছোট ব্যাখ্যা। এক পাশে দেখা গেল কারুশিল্পীরা কাজ করছেন। তাঁদের কাজও ছিল দেখার মতো।
তাঁদের সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ৫০ ধরনের ঘড়ি। প্রদর্শনীর পর ঘড়িগুলো কিউরিয়াসের শোরুমে থেকে যাবে