মজুরি নিয়ে চা-শ্রমিকদের আন্দোলনের পর সেপ্টেম্বরে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে। এ সময়ে দেশের ১৬৭টি বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা-বাগানে চা উৎপাদিত হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ কেজি। এর আগে মাসভিত্তিক সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল গত বছরের অক্টোবরে। ওই মাসে ১ কোটি ৪৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল। চা উৎপাদনের এ তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চা বোর্ড।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত সেপ্টেম্বরে রেকর্ড উৎপাদন চা-শিল্পের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ঘটনা। প্রয়োজনীয় বৃষ্টি, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, চা রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রণোদনা
I love nature places
, নিয়মিত বাগান তদারকি, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও শ্রমকল্যাণ নিশ্চিত করায় এ বছর চায়ের উৎপাদন ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
সরকারের নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বাগানমালিক, চা ব্যবসায়ী ও চা-শ্রমিকদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলে চা-শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও তিনি জানান।
শ্রমিক কর্মবিরতির কারণে গত আগস্টে চায়ের উৎপাদন কমে যায়। দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশের চা-বাগানগুলোতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকেরা। এ পরিস্থিতিতে ২৭ আগস্ট চা-বাগানমালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন। বৈঠকে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করার বিষয়ে সম্মত হন বাগানমালিকেরা। এরপর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন চা-শ্রমিকেরা।
আন্দোলনের প্রভাবে আগস্টে চা উৎপাদিত হয় ১ কোটি ৭ লাখ কেজি, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ লাখ কেজি কম। গত মাসে রেকর্ড উৎপাদনের কারণে আগস্ট পর্যন্ত চা উৎপাদনে যে ঘাটতি ছিল, তা-ও কমে এসেছে। গত আগস্ট পর্যন্ত চলতি বছরের ৮ মাসে চা উৎপাদিত হয়েছিল ৪ কোটি ৯০ লাখ কেজি, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ লাখ কেজি কম।