ডি লিখট স্বীকার করলেন নিজের বোকামি

সর্বনাশটা হলো তখনই। দ্বিতীয়ার্ধে চেক প্রজাতন্ত্রের গোলকিপার ভাচলিককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হলেন নেদারল্যান্ডসের দনিয়েল মালেন। এর পরপরই প্রতি–আক্রমণে উঠে গেল চেক দল। পাত্রিক শিককে আটকাতে গিয়ে মালেনের চেয়েও বড় সর্বনাশ করে বসলেন সেন্টারব্যাক ম্যাটাইস ডি লিখট।

নিজের দায় স্বীকার করলেন ডি লিখট।ছবি: রয়টার্স

বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে সেটি শিকের পায়ে যাওয়া ঠেকাতে গিয়ে বলে হাত লাগালেন। রেফারি প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআর তাঁকে দ্বিতীয়বার ভাবাল। মাঠের পাশে অবস্থিত স্ক্রিন দেখে তিনি নিশ্চিত হলেন ডাচ্‌ তারকার অপরাধ আরও বড়, সেটির প্রায়শ্চিত্ত কেবল হলুদ কার্ড দিলেই হবে না। এরপর তাঁকে সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়েই মাঠ থেকে বের করে দিলেন।

এর পরের ইতিহাস তো জানা। ফুটবলের বড় আসরে আরও একবার হৃদয় ভাঙল নেদারল্যান্ডসের। ১৯৮৮ সালের পর বড় কোনো প্রতিযোগিতা না জেতা, বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলশক্তি ১০ জনের দল হয়ে পড়ার পর চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে হারিয়ে বসল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। ২-০ গোলে হেরেই শেষ অবধি বিদায় নিতে হলো তাদের। চেকদের হয়ে গোল পেলেন টমাস হোলেস ও পাত্রিক শিক।

ডি লিখট দলের এ অবস্থার দায়ভার পুরোটাই নিজের কাঁধে নিচ্ছেন। এটা তো সত্য, দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় ওই কাণ্ড ডাচ্‌ দলের আত্মবিশ্বাসে বড় রকমের আঘাত হয়ে এসেছিল। যার ফলেই রক্ষণের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোড়া গোল হজম।

নেদারল্যান্ডসের সর্বনাশের সেই মুহূর্তছবি: এএফপি

জুভেন্টাসের রক্ষণভাগের এ তারকা ম্যাচ শেষে একটি ডাচ্‌ গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘সবকিছু নিয়ন্ত্রণেই ছিল। আমি মাটিতে পড়ে গিয়েছিলাম। সে সময় পেছন থেকে ধাক্কা খাই। ওই সময় বলে হাত লেগে যায়।’

ওই মুহূর্তেই যে খেলা চেক প্রজাতন্ত্রের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে, সেটি স্বীকার করছেন ডি লিখট, ‘ঠিক ওই মুহূর্তই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছে। আমি স্বীকার করছি, এ জন্য আমিই দায়ী। তবে আমি গর্বিত যে আমার সতীর্থরা এ অবস্থাতেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে।’

বড় উপলক্ষে দল হিসেবে ভেঙে পড়ার কুখ্যাতি আছে নেদারল্যান্ডসের। অতীতে অনেকবারই এমন হয়েছে। বিশ্বকাপ ফুটবলে তিনবার ফাইনাল খেলে (১৯৭৪, ১৯৭৮, ২০১০) একবারও শিরোপা জেতেনি নেদারল্যান্ডস। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়ে দলটা তিনবার হয়েছে তৃতীয়। ১৯৮৮ সালে শিরোপা জয় ছাড়া চার-চারবার তৃতীয় স্থানে থেকে ইউরো শেষ করেছে তারা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *