ধর্ষণ : মাথাচাড়া দিয়ে উঠা এক ঘৃণ্য অপরাধ

সংবাদপত্রে প্রতিদিন ধর্ষনের উপর বেশ কয়েকটা প্রতিবেদন দেখা যায় । প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও দুই / ততোধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে । এ যেন সমাজের দূরারোগ্য ব্যাধি ।

গতকাল (১লা অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েকটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে  : কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার , হাজারীবাগে দুই গৃহবধূকে ও সাভারে দুই নারীকে ধর্ষণ করা হয় এবং দুই শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়। আরও হাজারো ধর্ষণ ঘটনা ,যৌন নির্যাতন ও যৌন হয়রানির ঘটনা আমাদের অন্তরালে ঘটছে ,প্রকাশ পায় না বলে জানা যায়না। পরিসংখ্যানে দেখা যায় , ২০১৭ সালে ৮১৮জন,২০১৮সালে ৭৩২জন এবং ২০১৯সালে সর্বোচ্চ ১৪১৩ জন ধর্ষণের শিকার হয় । পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী , ২০১৯ সালে ৫৪০০জন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে ধর্ষণের হার ৩.৮০ অর্থাৎ প্রতি লাখে ৪ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।গতকাল (বৃহস্পতিবার) আইন ও সালিশ কেন্দ্র তাদের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।প্রতিবেদন অনুযায়ী , ২০২০সালে ৯মাসেই  (জানুয়ারি-অক্টোবর) ৯৭৫টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে । ৪৩জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ও ১২জন আত্নহত্যা করে ধর্ষণের পর।

বাংলাদেশে পূর্বের ধর্ষণ মামলাগুলোর সঠিক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না করায় সমাজের এই ঘৃণ্য অপরাধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।নৈতিক অবক্ষয় ,ব্যক্তিগত;পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের অবনতি । আইনের শাসন ও ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়া -এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির কারণ।দ্রুত আইনের আওতায় এনে এসব ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। পারিবারিক  ও  প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবিকতার চর্চা করতে হবে। তা না হলে এই রোগ ও এই ঘৃণ্য অপরাধ থেকে সমাজের মুক্তি নেই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *