তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর পৃথিবীতে ৬০ লাখ মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে ধূমপান রয়েছে সবার উপরে। অনেক ধূমপায়ীই জীবনের একটা সময় এসে ধূমপান ছাড়তে চান। অনেক সময় তারা ধূমপানের বিকল্প কোনো নেশা তৈরি করেও সিগারেটের আসন্তি থেকে নিজেদের মুক্ত করতে চান।
ধূমপান ছেড়ে বেরিয়ে আসা এক ব্যক্তি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বলেন, ধূমপান ছেড়ে দেবার পর প্রথম তিন-চার মাস সেটি ধরে রাখতে বেশ কষ্ট হয়েছে তার। কিন্তু তারপর থেকে আর কখনও ধূমপান করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন নি তিনি।
চিকিৎসকরা বলছেন, ধূমপান একটি আসক্তি। ধূমপান ছাড়ার জন্য কোন প্রস্তুতির দরকার নেই। আপনার একটি সিদ্ধান্তই যথেষ্ট।
>> দেখুন ধূমপান ছাড়তে চাইলে আপনার কী কী করা উচিৎ:
১. এক্ষুণি ধূমপান ছাড়ার কথা কেউ বলছেনা তবে প্রতিজ্ঞা করুন ধুমপান ছাড়ার।
২. টেবিল কিংবা পকেটে রাখা সিগারেটের প্যাকেট ডাস্টবিনে ফেলুন।
৩. একদিন ধূমপান না করে দেখুন। এরপর দুদিন, তিনদিন ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। তাহলে অভ্যাস গড়ে উঠবে।
৪. আশপাশে যারা ধূমপান বর্জন করেছে তাদের অনুসরণ করুন। তাদের স্বাস্থ্যগত কী পরিবর্তন এসেছে সেটি জানার চেষ্টা করুন।
৫. আপনার ধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গ সুকৌশলে এড়িয়ে চলুন।
৬. হিসেবে করে দেখুন সিগারেট কিংবা তামাকজাত পণ্যের জন্য প্রতিমাসে আপনার কত টাকা খরচ হয়? সে টাকা জমিয়ে অন্য খাতে খরচ করতে পারেন।
৭. সিগারেট ছাড়ার পর মুখে চুইংগাম কিংবা আদা চিবোতে পারেন। তাহলে ধূমপানের প্রতি আকর্ষণ কমে আসবে।
৮. যে সময়টিতে আপনার ধূমপান করতে ইচ্ছা করবে সে সময়ে রাস্তায় হাঁটুন। তাহলে ধূমপানের চাহিদা থাকবে না।
৯. যেকোনো জায়গায় ধূমপান কর্নার থেকে দূরে থাকুন
১০. যার যার ধর্ম যা সেই ধরনের বই পড়তে পারেন। ইসলাম ধর্মের মানুষ তাদের ইবাদত ( নামাজ পড়া,আল-কোরান তেলেওয়াত করা )
১১. নিরুপায় মনে হলে সবশেষে চিকিৎসকের কাছে থেকে কাউন্সেলিং-এর সহায়তা নিতে পারেন।
১২. মুসলিম হলে ,যা আমরা জানি কি করে আল্লাহ ধাপে ধাপে মদ হারাম করেছন। ঠিক সেভাবেই যে কেউ-ই চাইলে ধুমপান ছাড়তে পারে।