নেইমারের সেই ‘বড় ভাই’ গানসো আবার ফিরছেন সান্তোসে?

এক দশক পেরিয়ে গেল সে সময়টার। ব্রাজিল তো বটেই, দক্ষিণ আমেরিকা মাতিয়েছিলেন দুজন। ইউরোপে সাড়া পড়ে গিয়েছিল—ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে দুই রত্নের খোঁজ মিলেছে। দুজন তো ভালোই, তখন বরং তর্ক হতো এ নিয়ে যে নেইমার না গানসো—কে বেশি ভালো ফুটবলার

নেইমার সেখান থেকে প্রতিভার সমান্তরালে প্রাপ্তি কুড়িয়েছেন। সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় এসে সর্বজয় করেছেন, সেখান থেকে পিএসজিতে গিয়ে বিতর্ক আর চোটের মধ্যেও খেলোয়াড় হিসেবে হয়েছেন আরও পরিপূর্ণ। কিন্তু নেইমার নিজে যাকে ‘বড় ভাই’ মানতেন, সেই গানসো কোথায়?

সান্তোস হয়ে তখন ব্রাজিলের জার্সিতেও নেইমার-গানসো ছিলেন পাশাপাশি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

তিনি আছেন ব্রাজিলের ফুটবলপ্রেমীদের দীর্ঘশ্বাসে। ইউরোপে খেলেছেন বটে; সেভিয়া, আমিয়ঁর মতো ক্লাবে কদিন কাটিয়েছেন। কিন্তু চোট আর ফর্মের সঙ্গে যুঝে পেরে ওঠেননি। ব্রাজিলে ফিরেছেন তা-ও বছর দুয়েক হয়ে গেল, কিন্তু ছন্দে আর ফেরা হয়নি।

কিন্তু সেই পাওলো হেনরিক গানসোই এই ৩১ বছর বয়সে এসে আবার শিরোনামে। যে সান্তোস থেকে তাঁর নাম ছড়ানো, নেইমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে সান্তোসকে দক্ষিণ আমেরিকান শ্রেষ্ঠত্ব এনে দেওয়া, সেই সান্তোসে আবার তাঁর ফেরার গুঞ্জন চাউর হয়েছে।

সান্তোসের দিনগুলোতে রবিনিওর সঙ্গে। রবিনিও এখন ধর্ষণের মামলার আসামী, গানসো ব্রাজিলের জাতীয় দলে বিস্মৃতপ্রায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২০১১ সালের জুন। ৪৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে কোপা লিবার্তাদোরেস জিতল সান্তোস। দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বসূচক যে ট্রফিটা সান্তোস তার আগে জিতেছিল কিংবদন্তি পেলের সময়ে। লিবার্তাদোরেসের পাশাপাশি সে সময় টানা তিনবার রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে, জিতেছে কোপা দো ব্রাজিলও। ষাটের দশকে পেলের দলের পর সান্তোসের সফলতম সময় চলছে তখন।

আর এর মূলে তাঁরা দুজন। সাদা-কালো জার্সিতে তখন তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে সৃষ্টিশীল ফুটবলের ফুল ফুটিয়ে যাচ্ছেন নেইমার। বাঁ উইং ধরে তাঁর পায়ের নাচন ব্রাজিল ছাপিয়ে মোহাবিষ্ট করছে পুরো বিশ্বকে। কিন্তু তাঁর ঠিক পেছনে দলের আক্রমণ গড়ে দেওয়ার কাজটা সুনিপুণভাবে করে যাচ্ছেন যিনি, তিনিও অগোচর থাকেন কীভাবে! ‘১১’ নম্বর জার্সির নেইমার না ‘১০’-এর গানসো…কে এরপর ইউরোপের বড় ক্লাবে বেশি আলো ছড়াবেন, আলোচনা ছিল তখন এ নিয়ে। আকাশ তখন দুজনের সীমানা।

কিন্তু ফুটবল সব সময় প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয় না। শুধু প্রতিভার বিচারেই সাফল্য হয় না। সাধনা লাগে, লাগে সিদ্ধান্তের বিচক্ষণতা। ভাগ্যকেও পাশে প্রয়োজন পড়ে। যে দিকগুলোতে মার খেয়ে যান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *