বাজারে গিয়ে মাছটা ভালো না খারাপ সেটা বোঝার কৌশল কী?

বাজারে গিয়ে, মাছ ভালো না খারাপ সেটা চেনার জন্য সচরাচর যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়,

১। মাছের গায়ে, আঙ্গুলের চাপ দিয়া দেখা হয় যে সেই জায়গাটা ডেবে গেলো কী না।

যদি চাপ ছেড়ে দিলে, সেই জায়গাটা আবার অনেকটা বাউন্স হওয়ার মতোই, আবার ফিরে আসে, তাহলে, মাছটি তাজা।

কিনতু, আঙুলের চাপে ডেবে যাওয়া জায়গাটা যদি অনেকটাই গর্ত হয়ে থাকে, এবং মনে হয় যে চাপ দেয়ার আগে যেরকম দেখাচ্ছিলো, সেরকম অবস্থায় ফিরে আসতে হয়তো সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়ে যেতে পারে, তাইলে মাছটা সেরকম তাজা না।

যদি দেখা যায়, মাছের গায়ে আঙুল ডাবালে, জায়গাটার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না, একদম শক্ত হয়ে আছে, বরঞ্চ মনে হচ্ছে, আঙ্গুল দিয়ে একটি কাঁচা আমের গায়েই যেন চাপ দিলাম, তাইলে, মাছটি ভালো না।

২। মাছের চোখ।

চোখটা যদি উজ্জ্বল মনে হয়, চোখের চারদিকে একটু লালচে আভা আছে, তাইলে মাছটি তাজা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

জল থেকে মাছ ডাঙ্গায় তোলার পর, যত সময় যেতে থাকে, চোখের ঔজ্জ্বল্য হ্রাস পেতে থেকে থাকে। যদি, চোখ দুটো ঘোলাটে মনে হয়, তাহলে মাছটি তাজা হওয়ার সম্ভাবনা কম।

৩। মাছের ফুলকোর রং।

মাছের কানকো উল্টে, ফুলকোর রঙ দেখা হয়, তাজা রক্তের মতো লাল কী না। তবে, অনেক সময় মাছ দোকানি, অন্য কাটা মাছের রক্ত ও মিশিয়ে রাখেন। সুতরাং, এভাবে নিশ্চিত হওয়াটা একটু কঠিন হয়।

যাই হোক, তবুও ফুলকোটিতে আঙুল দিয়ে একটু ঘষাঘষি করে যদি দেখা যায়, আঙ্গুলের ওই জায়গাটায় একটু লাল রঙের আভার মতো লেগে আছে মনে হচ্ছে, তাইলে, রঙ মিশিয়ে রাখার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এরকম ক্ষেত্রে, মাছটি তাজা না ও হতে পারে।

৪। মাছের গায়ের ঔজ্জ্বল্য।

যদি দেখা যায়, গায়ের রঙ টা ঝকঝক করছে, মাছটি তাজা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

৫। মাছের দেহের ঘ্রাণ।

যদি মাছের গায়ের গন্ধ শুঁকে মনে হয় যে, কোনো বাজে গন্ধ মনে হচ্ছে না, সচরাচর আঁশটে গন্ধ যেমন, তেমনই, তবে মাছটি তাজা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।

৬। জিয়ল মাছ

আর জিয়ল মাছ যেমন, কই, মাগুর, শিঙ্গি এসব। এদের নিয়ে খুব একটা ঝামেলা নেই।

যদি দেখা যায় যে মাছগুলি একেবারে দুরন্ত বাচ্চার মতো দৌড়োদৌড়ি করতাছে, কোনো ভয় ডর বা মান্য মানতা নাই, কোনো কথাই গ্রাহ্য করতেছে না, ধমক টমক দিয়া বা হাত দিয়া চেষ্টা কইরাও সামাল দেয়া যাইতেছে না, তাইলে, দাম দর ঠিক কইরা, নিয়া নেন ব্যাগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *