রিজওয়ানের সঙ্গে বাবরের জুটির আগেই যে পাকিস্তানের ইনিংসে ধাক্কা লেগেছিল। পাকিস্তানের নড়বড়ে টপ অর্ডারে আরেকবার সহজেই আঘাত হেনেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং বোলাররা। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান প্রথম ৪ উইকেট হারিয়েছিল ৬৮ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে কাল ৪ উইকেট গেল ৬৫ রানে। সেখান থেকে প্রথমে রিজওয়ান, পরে আশরাফের সঙ্গে মিলে বাবর লড়াইয়ে রাখলেন পাকিস্তানকে।
দিনের শুরুটা অবশ্য বল হাতে দারুণই হয়েছিল পাকিস্তানের। ৮ উইকেটে ২৫১ রান নিয়ে শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকি দুই উইকেট ২ রানের মধ্যেই তুলে নেন পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদি। দিনের প্রথম ওভারে জোমেল ওয়ারিকানকে তুলে নেওয়ার পর দিনের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে শাহীন ফেরান জশুয়া ডা সিলভাকে।
৩৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা পাকিস্তান শুরুতেই ধাক্কা খায়। তৃতীয় ওভারেই পাকিস্তান ওপেনার ইমরান বাটকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন কেমার রোচ, পাকিস্তানের রান তখন ১!
দ্বিতীয় উইকেটে দুই আলী—আবিদ ও আজহার মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় স্পেলে এসে আবার ধাক্কা রোচের। আজহার আলীর (২৩ রান) স্টাম্প নাড়িয়ে দেয় বারবাডিয়ান পেসারের অফ কাটার।
আজহারের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছিল, বল হয়তো তাঁর ধারণার চেয়েও নিচু হয়ে এসেছে। অবশ্য এর আগেই আজহারকে ফেরাতে পারতেন রোচ, তাঁর বলে দ্বিতীয় স্লিপে আজহারের ক্যাচ ধরতে পারেননি জেসন হোল্ডার।
হোল্ডার সে প্রায়শ্চিত্ত কিছুক্ষণ পরই করেছেন জেডেন সিলসকে ইনিংসে তাঁর প্রথম উইকেট উপহার দিয়ে। সিলসের বলে দ্বিতীয় স্লিপেই আবিদ আলীর লাফিয়ে ওঠা ক্যাচ ধরে ফেলেন হোল্ডার, আবিদের রান তখন ৩৪।
৫৬ রানে ১ উইকেট থেকে হঠাৎই তখন পাকিস্তান ৬৫/৩ হয়ে যায়। তিন বল পর ৬৫/৪! মধ্যাহ্নবিরতির আগে-পরে ৯ বলের মধ্যে পাকিস্তানের তিন উইকেট নেই! সিলসের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফাওয়াদ আলম, রানের খাতাও খুলতে পারেননি তিনি।
সেখান থেকেই শুরু বাবরের লড়াই। আজ চতুর্থ দিনে আশরাফ এবং এরপর লোয়ার-অর্ডারকে নিয়ে পাকিস্তানের লিডটাকে কত রানে এগিয়ে নিতে পারেন বাবর, তা-ই দেখার।
অন্তত ২২০-২৫০ রানের বেশি তো নিতেই চাইবেন পাকিস্তান অধিনায়ক। এই উইকেটে কত রানের লক্ষ্য তাড়া করা সহজ হবে, প্রশ্নে উইন্ডিজ পেসার সিলস দিন শেষে বলেছিলেন, ‘লক্ষ্যটা ১৭০ থেকে ২০০ রানের মধ্যে হলেই আমাদের জয়ের ভালো সম্ভাবনা থাকবে বলে মনে হচ্ছে।