লিওনেল মেসি এবং স্প্যানিশ লা লিগার দল বার্সেলোনার মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখন চরমে। কাতালান জায়ান্টদের সাফ কথা, ১০ জুন তাদের সাথে মেসির চুক্তির শেষদিন ছিল। যেহেতু এই সময়ের মধ্যে সে ক্লাব ছাড়ার বিষয়টি জানায়নি, তাই নতুন ক্লাবে যাওয়ার আগে পরিশোধ করতে হবে রিলিজ ক্লজের ৭০০ মিলিয়ন ইউরো।
messi new two
অন্যদিকে মেসির আইনজীবীদের দাবি, করোনার কারণে ২০১৯-২০ মৌসুম শেষ হতে বিলম্ব হয়েছে। তাই ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার সময় ছিল আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত। এমতাবস্থায় আদালতে যেতে পারে মেসি-বার্সা দ্বন্দ্ব। আর এ লড়াইয়ে হেরে গেলে জরিমানার পাশাপাশি নিষিদ্ধ হতে পারেন ছয় বারের ব্যালন ডি অর জয়ী। এমনটাই দাবি করছে স্পেনের সংবাদমাধ্যম মার্কা।
মার্কার মতে, কোনো ফুটবলার বিনা কারণে টানা দুদিন ক্লাবের কর্মসূচিতে অংশ না নিলে সেটা বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে গৃহীত হয়। মেসি গত রোববারের করোনা টেস্টের পাশাপাশি আরো দুইদিন অনুশীলনে অংশ নেননি। তাই এই আর্জেন্টাইনও এখন সে অপরাধে অপরাধী। এমনকি শেষ পর্যন্ত হেরে গেলে হয়তো খুব খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে তার জন্য।
তবে এ লড়াইয়ে আর্জেন্টাইন তারকারই জয় দেখছেন স্পেনের লা রিওহার ল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুয়ান রামোন লিয়েবানা। বার্সার অভিযোগের প্রেক্ষিতে লিয়েবানা বলেন, ‘১০ জুনের বিষয়টি ছিল ট্রান্সফারের। তবে চুক্তি বাতিল সংক্রান্ত কিছু না। নির্দিষ্টভাবে চুক্তির তারিখের হিসেব করলে বার্সা এগিয়ে থাকবে। অন্যথায় মেসির জেতার জন্য অনেক কারণ দাঁড়িয়ে যাবে।’
barcelona logo new
২৩ আগস্ট চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হয়েছে। মেসির আইনজীবীরা বিষয়টা বলতেই পারেন। তাই তারা চুক্তি সমাপ্তির সময়কাল একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করতে পারবে।’ যোগ করেন লিয়েবানা।
এর আগে মেসির ট্রান্সফার ফির মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে স্পেনের সংবাদমাধ্যম কাদেনা সেরের সাংবাদিক সিকে রদ্রিগেজ জানান, ‘২০১৭ সালে মেসির সাথে তিন বছরের চুক্তি নবায়ন করে বার্সা। সেই সময়ে বার্সা ছাড়লে নতুন ক্লাবকে রিলিজ ক্লজের ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু তিন বছর শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর সে হিসেব নেই।’