ব্রাজিলের বিপক্ষে ওতামেন্দিকে লাল কার্ড না দেখানোয় নিষিদ্ধ রেফারি

কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল সে আনুষ্ঠানিকতা বেশ আগেই সেরে নিয়েছে। আর আর্জেন্টিনা গতকাল ঘরের মাঠে ব্রাজিলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে অন্তত চারে থাকা নিশ্চিত করেছে।

ম্যাচে দুই দলের কেউই প্রাধান্য বিস্তার করতে পারেনি। কিন্তু ম্যাচের গল্পটা অন্য রকম হতেও পারত। প্রথমার্ধেই ১০ জনের দল হয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। কিন্তু স্বাগতিক দলের নিকোলাস ওতামেন্দিকে লাল কার্ড দেখাননি রেফারি। এমনকি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি রিপ্লে দেখেও সিদ্ধান্ত বদলাননি।

এই ঘটনায় উরুগুয়ের রেফারি আন্দ্রেস কুনিয়া ও ভিএআর সহকারী এস্তেবান অস্তোহিচকে শাস্তি দিয়েছে কনমেবল রেফারি কমিশন। অনির্দিষ্টকালের জন্য এ দুজনকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রাফিনিয়ার আবেদনে মন গলেনি রেফারির
রাফিনিয়ার আবেদনে মন গলেনি রেফারির

 

বেশ কয়েকটি অ্যাঙ্গেল থেকে ঘটনা দেখলেও ওতামেন্দির আগ্রাসী আচরণ এবং এ কারণে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের যে লাল কার্ড পাওয়া উচিত, সেটা কুনিয়াকে জানাননি অস্তোহিচ। অথচ আঘাতে রাফিনিয়ার মুখ থেকে রক্ত ঝরছিল। ম্যাচের বাকি সময় মুখে ব্যান্ডেজ পরে খেলেছেন এই ফরোয়ার্ড। পরে জানা গেছে, রক্ত বন্ধ করতে রাফিনিয়াকে পাঁচটি সেলাই নিতে হয়েছে।

কনমেবল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উরুগুয়ের দুই রেফারি ‘এ ঘটনা সামলাতে নিজেদের দায়িত্ব পালনে ভয়ংকর ভুল করেছেন।’ আর এ কারণেই এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে, ‘কনমেবল রেফারি কমিটি এ কারণে রেফারি আন্দ্রেস ইসমায়েল কুনিয়া ও এস্তেবান ড্যানিয়েল অস্তোহিচকে কনমেবলের প্রতিযোগিতায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সাময়িক নিষিদ্ধ করছে।’

এ ঘটনায় রেফারিদের উদ্দেশে আগেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন ব্রাজিল কোচ তিতে, ‘ভিএআরে কে বসেছিল? এটা একদম অসম্ভব। আমি আবারও বলছি, রাফিনিয়ার মুখে ওতামেন্দির কনুইয়ের আঘাত দেখা যায়নি, এটা অসম্ভব। এটা (লাল কার্ড হলে) কি ম্যাচের ফল নির্ধারিত করে দিত? আমি জানি না। উচ্চ মানের ভিএআর এভাবে কাজ করতে পারে না। এটা অচিন্তনীয়। আমি এ শব্দ ব্যবহার করতে চাই না। আমি বিনয়ী বলেই এ শব্দ ব্যবহার করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *