মশা মারার জন্য প্রায় ১২২ কোটি টাকা খরচ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা, ডেঙ্গু মোকাবিলা, যন্ত্রপাতি কেনা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারকাজে এই টাকা ব্যয় করা হবে।
আজ সোমবার দুপুরে গুলশানের ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবনের ষষ্ঠ তলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যায়ের এ বিষয়টি জানানো হয়। ডিএনসিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এবারের বাজেটে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের মধ্যে মশা নিধনকাজ পরিচালনার জন্য ৮৪ দশমিক ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে মশার ঔষধ কেনার পেছনেই খরচ হবে ৪৫ কোটি টাকা। আর ৩০ কোটি টাকা খরচ হবে বেসরকারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োজিত মশককর্মীদের দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।
এ ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৭ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম এবং প্রচারণায়। সব মিলিয়ে যা দাড়ায় ১২১ দশমিক ৮৪ কোটি টাকায়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নতুন অর্থবছরের মশক নিয়ন্ত্রণে যে বরাদ্দ রেখেছে, তা মোট বাজেটের প্রায় ২ দশমিক ৩২ শতাংশ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন অর্থবছরের মোট বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ২৬৮ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) ডিএনসিসির সংশোধিত বাজেট ছিল ২ হাজার ৯৫০ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা
এ দিকে গত অর্থবছরে ঢাকা উত্তর সিটির রাজস্ব আয় হয়েছে ১ হাজার ১৮০ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। যা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনর ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয়। নতুন অর্থবছরে সর্বমোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা।
বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং মশক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতা কোথায়, সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন করলে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এত কিছু করছি, এরপরও মশা কেন নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমরাও জানি না। আমরাও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি, আসলে সমস্যাটা কোথায়?’ মেয়র আরও বলেন ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মশার প্রজাতি, ব্যবহৃত ওষুধ—এসব নিয়ে গবেষণার জন্য সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সাক্ষর হয়েছে। আশা করছি গবেষণার মাধ্যমে আমরা আরও কিছু পাব।’