নানাভাবে গায়েব হয়ে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জায়গা-জমি। সরকারের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) দেশের ৮৯৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সেগুলোতে আগের চেয়ে মোট ৩১৬ দশমিক ৬৯৮৬৮ একর জমি কমে যাওয়ার তথ্য পেয়েছে। কমে যাওয়া এসব জমি মূলত বেহাত হয়েছে বলে মনে করছে ডিআইএ।
এ ছাড়া ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও অপচয় চিহ্নিত করে মোট ৪৮ কোটি টাকার বেশি সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে আদায় করার সুপারিশ করেছে ডিআইএ।
গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে সারা দেশের ৮৯৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ডিআইএ। পরিদর্শনগুলো করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
ডিআইএর শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, একসময় অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেক বেশি জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর
১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিআইএ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংস্থা। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং আর্থিক স্বচ্ছতা আনতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় তারা। অবশ্য কখনো কখনো এই প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও পরিদর্শনের সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর প্রথম আলোকে বলেন, ডিআইএ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর পরবর্তী কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেয় মন্ত্রণালয়। তবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমিগুলো বেহাত হওয়া কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
বেহাত হলো যত জমি
ডিআইএ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রতিবেদনগুলোর একটি সারাংশ করেছে। তাতে দেখা যায়, বিদ্যালয় ও কলেজে ২২৬ দশমিক ৯২৮৪৮ একর জমি বেহাত হয়েছে। আর কারিগরি ও মাদ্রাসা