পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণাধীন স্থাপনা । এটি বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপরে নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হবে । পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অংশে অংশের সাথে উত্তর পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে । পদ্মা সেতু স্টিল ও কংক্রিট দ্বারা নির্মিত একটি ট্রাস ব্রিজ । ব্রিজটি দুই স্তর বিশিষ্ট ।উপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তর টিকে থাকবে একটি একক রেলপথ ।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ শুরু ও শেষঃ সেতুটি নির্মাণ শুরু হয় ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে এবং সেতুর কাজ শেষ হবে ১৬ ডিসেম্বর ২০২২সালে (আনুমানিক)।
জেনে নেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্পান বসবে। সেতুটির দৈর্ঘ্য হব ৬.১৫কিলোমিটার এবং সেতুটির প্রস্থ হবে ১৮.১০ মিটার। পদ্মা সেতু নির্মাণ কারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হল চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি ।
সরকারের পরিকল্পনামাফিক ২০২০ সালের শেষের দিকে এটি যানবহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী হতে ২০২২সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত লেগে যাবে। সেতুটিতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ৭৯৩কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
গুজবঃ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে মানুষের মাথা লাগবে বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ায়। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অপহরণকারী ধারণা করে অনেক মানসিক ভারসাম্যহীনকে মারধরে পুলিশে হস্তান্তর করার ঘটনা ঘটে। পড়ে এই ঘটনাটিকে গুজব ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে জুলাই মাসের ৯ তারিখে সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমগুলোতে বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এক্ষেত্রে গবেষকরা সেতু কর্তৃপক্ষ সেতুটি নির্মাণের সকল তথ্য জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন ।