মাঠে তখন প্রতিপক্ষের ১০ জন খেলোয়াড়ই ছিলেন। আরেকজন একটু আগেই লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে গেছেন। ফ্রি–কিক ঠেকাতে বক্সে গোলকিপারসহ ইকুয়েডরের ১০ জনই ছিলেন। এরই মধ্যে দল ২-০ গোলে পিছিয়ে আছে। বিদায়ের আগে দলটি কোনোভাবেই চাইছিল না গোলের ব্যবধান আরও বাড়ুক।

কিন্তু মেসি যে এবারের কোপা আমেরিকায় আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। সামনে থাকা মানবদেয়াল কোনো বাধা হয়নি। ঝাঁপিয়ে পড়া গোলকিপারও পথের কাঁটা হয়ে উঠতে ব্যর্থ। কোপায় ফ্রি-কিক থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নিজের অবস্থান সুসংহত করেছেন মেসি। গত দেড় যুগে এমন কিছু দেখে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার কথা আর্জেন্টাইনদের। কিন্তু এখনো তাঁরা বিস্মিত হন মেসির ঝলক দেখে।
এবারের কোপা আমেরিকায় মেসি এ পর্যন্ত ৪টি গোল করেছেন। আরও ৪টি গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন। দলের ১০টি গোলের ৮টিতেই মেসির অবদান। অবশ্য আর্জেন্টিনার খেলা দেখলে বাকি দুটি গোলে মেসির স্পর্শ ছিল না, এ তথ্যই বরং অবিশ্বাস জাগায়। আজ যেমন মেসির দারুণ দুটি পাস থেকেই গোল করেছেন রদ্রিগো দি পল ও লওতারো মার্তিনেজ।
টুর্নামেন্টের শুরুতে একের পর এক গোল হাতছাড়া করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মার্তিনেজ। ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার আজ পেয়েছেন টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় গোল। মেসির পাসে একদম ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন মার্তিনেজ। অধিনায়কের প্রশংসায় তাই কোনো বাধা মানেননি। বলেই দিয়েছেন, এবার আর্জেন্টিনা যদি কোপা আমেরিকা জেতে, সেটা মেসিই জেতাবেন, ‘আমরা সবাই মেসির নেতৃত্ব অনুসরণ করছি। তিনি কীভাবে পার্থক্য গড়ে দেন, আজ সেটা আবারও দেখলাম আমরা। আর আমরা সবাই তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছি।’