কঠোর বিধিনেষেধের অষ্টম দিন ছিল আজ শুক্রবার। এই দিন আগের দিনের তুলনায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীবাহী লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল বেশি চলতে দেখা যায়। মানুষ ভেঙে ভেঙে ওই সব যানে করে গন্তব্যে ছুটছেন।
আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়কে অবস্থান করে যান চলাচলের দৃশ্য দেখা গেছে। মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ডের অদূরে কথা হয় উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ঘুগী গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার অর্জুনতারা জামিয়া রাহমানিয়া কেরামতিয়া মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। মাদ্রাসা বন্ধ থাকলেও পাশে থাকা মসজিদের কাজ চলছে। এ জন্য তাঁকে কর্মস্থলে যেতে হবে। কিন্তু বিধিনিষেধের কারণে বাস চলাচল বন্ধ। অপেক্ষায় আছেন ট্রাক বা পিকআপ ভ্যানে রওনা হবেন।
মহাসড়কে অবস্থানকালে দেখা যায়, ঢাকামুখী অটোরিকশার সংখ্যাও প্রচুর। সার্ভিস লেন ছাড়া মূল লেনে অটোরিকশা চলাচল নিষেধ। স্বাভাবিক সময়ে তা খুব একটা চলতে দেখা যায় না। তবে আজ মূল লেনে গড়ে প্রতি মিনিটে উভয় দিকে একটি করে অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেলের সংখ্যা মিনিটে পাঁচ থেকে সাতটি। ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ ভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস প্রতি মিনিটে উভয় দিকে ৮-১০টি করে চলাচল করছে।

এদিকে মহাসড়কে মির্জাপুরের চড়পাড়া এলাকায় তল্লাশিচৌকিতে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। টাঙ্গাইলের গোপালপুরগামী একটি পিকআপ ভ্যানে চার-পাঁচজন যাত্রী ছিল। পুলিশ ওই পিকআপ আটক করে। পিকআপচালক রাশেদ মিয়া বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে তিনি গোপালপুরে যাচ্ছেন তাঁর আত্মীয়কে নিয়ে। তিনি তাঁদের বাড়ি থেকে কিছু আসবাব নিয়ে ফিরবেন। প্রায় ১০ মিনিট অবস্থানের সময় পর্যন্ত পুলিশ ওই পিকআপকে ছাড়েনি।