জিম্বাবুয়ে সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ
মা-বাবার অসুস্থতার কারণে জিম্বাবুয়ে সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা হয়নি মুশফিকুর রহিমের। ১৪ জুলাই রাতে দেশে ফিরেছিলেন মুশফিক। তবে অস্ট্রেলিয়ার বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ে কোয়ারেন্টিনে ঢুকতে পারেননি বলে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা হচ্ছে না তাঁর।
এমন কঠিন নিয়মের ব্যাপারটা বুঝতেই পারছেন না জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এ নিয়ে নিজের হতাশার কথাও জানিয়েছেন আজ।
জিম্বাবুয়ে সফরে জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে সরাসরি ঢুকে গেছেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আরেক জৈব সুরক্ষাবলয়ে। তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে আজ অনুশীলনেও যোগ দিয়েছেন তাঁরা। মুশফিক ছাড়াও বাংলাদেশ এ সিরিজে তামিম ইকবাল, লিটন দাসকে পাচ্ছে
চোট থেকে সেরে উঠতে বিশ্রামে আছেন তামিম, পরিবারের সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ায় দেশে ফেরা লিটনও নির্দিষ্ট সময়ে জৈব সুরক্ষাবলয়ে ঢুকতে পারেননি। বাবাকে হারানো লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও নেই একই কারণে।
একাধিক প্রথম সারির ক্রিকেটারকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ কতটা কঠিন হবে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে আজ ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নিজের হতাশা জানিয়েছেন ডমিঙ্গো, ‘আমি আসলে মুশফিকের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার বেঁধে দেওয়া এই কঠিন নিয়মের ব্যাপারটিই বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান নিয়েও বেশ হতাশ আমি।’
তবে হতাশার মধ্যেও ইতিবাচক দিক খুঁজে নিচ্ছেন কোচ। মুশফিকের অনুপস্থিতি অন্যদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে বলে মনে করেন ডমিঙ্গো, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই চাপ থাকবে। তবে আমরা বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে চাই। তরুণদের সামর্থ্য আছে এ পর্যায়ে খেলার। আমার মনে হয়, এটা তাদের জন্য একটা সুযোগও। মুশফিকের না থাকাটা আমাদের বড় ক্ষতি, তবে আমাদের বড় স্কোয়াড থেকে ওর জায়গায় খেলার মতো মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে।’
বাংলাদেশের মতো প্রথম সারির বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে পাবে না অস্ট্রেলিয়াও। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ থেকে শুরু করে স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্স, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিসরা নেই নানা কারণে।