তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা
মন জানো না।
আমার ঘরে বসত করে অনিশ্চয়তা। আমার চেতনায়, আমার ভালবাসায়, আমার ইচ্ছায়, আমার মগজের নিউরনে বাস করে অনিশ্চয়তা। অস্তিত্বের কেন্দ্রে বাস করে অনিশ্চয়তা। এমন কী শূন্যতার মাঝেও বাস করে অনিশ্চয়তা। পদার্থ এক সম্ভাবনার ঢেউ। পদার্থ এক নিশ্চয়তা-অনিশ্চয়তার ঢেউ। পদার্থ কখনো কণা, কখনো ঢেউ। কণা হিসাবে পদার্থকে শুধু একটি স্থানে দেখি, ঢেউ হিসাবে ওকে সর্বত্র খুঁজে পাই। ঢেউ এবং কণার দ্বন্দ্ব অনিশ্চয়তা তৈরি করে। এই অনিশ্চয়তার তত্ত্ব অনেকভাবে লেখা যায়। শ্রোডিঙ্গার লিখেছেন কোয়ান্টাম ঢেউয়ের সমীকরণে, হাইজেনবার্গ লিখেছেন বস্তুর অবস্থান এবং ভরবেগ মাপার অনিশ্চয়তার সমীকরণে।
পান্তা চোরকে ধরতে কোয়ান্টাম বিজ্ঞানীদের গরজ নেই, বিজ্ঞানীরা ধরতে চান ইলেকট্রন, ফোটন, পরমাণু, অণু ইত্যাদি পারমাণবিক কণিকা। মাপতে চান ওদের অবস্থান, ভরবেগ, এনার্জি, চক্কর (Spin), আয়ু, ইত্যাদি। এরকম দুটো জিনিস পরপর মাপতে গেলে কোয়ান্টাম বিজ্ঞানীরা পান্তাবুড়ির মতো একই ঝামেলায় পড়েন। যেমন, একটা ইলেকট্রনের অবস্থান জানতে হলে ইলেকট্রনের গায়ে আলো ফেলতে হবে। সেই আলোর ধাক্কায় ইলেকট্রন সরে যাবে এবং ওর ভরবেগ যাবে বেড়ে। তাই ইলেকট্রনের অবস্থান এবং ভরবেগ দুটোই একসাথে নির্ভুলভাবে মাপা সম্ভব নয়। ভরবেগ এবং অবস্থান মাপে সবসময় একটা অনিশ্চয়তা থাকবে। একটা মাপতে গেলে আরেকটি বদলে যায়৷