সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রামসহ চারটি জেলায় কোরবানি পশুর হাট না বসিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেচাকেনার সুপারিশ করেছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাট বাদে ঢাকায় আর কোনো পশুর হাট না বসিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোরবানি পশু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
ঢাকা উত্তরের খবর পেয়ে চট্টগ্রামেও হয়তো কেউ কেউ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোরবানি পশু বেচাকেনার কথা প্রস্তাব করবেন বা করেছেন। আমার ধারণা, এসময় পশু বেচাকেনার সাথে জড়িত কোনো কোনো সিন্ডিকেট চেষ্টা করবেন বা তদবির করবেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেচাকেনার বিষয়টি অনুমোদনের জন্য। এসব ব্যবসায়ীদের তৎপরতা দেখে ভাববেন না তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাকে লালন করছেন বা সত্যিকারভাবেই কোভিড-১৯ বিস্তার রোধের কথা ভাবছেন। বাস্তবতা হচ্ছে এরা আপাদমস্তক ব্যবসায়ী।
আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পশু বেচাকেনার মতো এখনো শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি। যে সব ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা হয় সেখানে অনেক ক্রেতারাই সন্তুষ্ট নয়। অনলাইন থেকে পণ্য কিনে ঠকছেন এমন অসংখ্য অভিযোগ আছে।
যেমন, গ্রাহক ডিজিটাল মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের পর ওই বিক্রেতার ফেইসবুক পেইজ থেকে আর কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। অনলাইনে ছবি দেখে মনে হয় খুব ভালো পণ্য; বাসায় প্যাকেট খোলার পর দেখা যায় ছবির সাথে মিল নেই।
এই যে ছোটখাট বেচাকেনায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্রশ্ববিদ্ধ সেখানে কোরবানি পশুর বিকিকিনি কি একেবারে নিখুঁত হবে? যেখানে অন্যান্য শপিং মলগুলোর প্রতারণা রোধে কার্যকর কোনো সিস্টেম নেই এবং জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হয়নি সেখানে অনলাইনে পশু বেচাকেনায় ক্রেতা-বিক্রেতার অধিকার কতটুকু আর কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে তা কি ভেবে দেখা হয়েছ


ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু বেচাকেনার সুপারিশ