ফিফার মালিকানায় থাকা এই ট্রফি ফাইনাল শেষে বিজয়ী দলের নাম খোদাই করে তুলে দেওয়া হবে। তবে ট্রফি তুলে দেওয়ার পর সেটি আবার জিডিই বের্তোনিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উদ্যাপনের জন্য খেলোয়াড়দের হাতে দেওয়া হয় রেপ্লিকা ট্রফি। আসল ট্রফিটি ফিফাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে রাখে বের্তোনি। এরপর পরবর্তী বিশ্বকাপ পর্যন্ত ট্রফিটির ঠাঁই হয় ফিফার অফিশিয়াল জাদুঘরে।
এরপর ছোট হাতুড়ি দিয়ে এটি পরিমার্জন করা হয় এবং ট্রফির ওপর প্রয়োজনে বিষয়গুলো যোগ করা হয়। বিশেষ করে সেই দুটি মানবহাতের আকার, যা পৃথিবীকে আগলে ধরে আছে। এরপর আরও বেশি পরিমার্জন প্রয়োজন হয়। ফলে এটিকে নিখুঁত দেখানোর জন্য ভারী যন্ত্র দিয়ে পলিশ করা হয়।
এরপর ট্রফিটি নিয়ে আসা হয় গ্যালভানিক (তাড়িত) বিভাগে। যেখানে আল্ট্রাসোনিক ক্লিনিং সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ট্রফিটির যথাযথভাবে পরিষ্কার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এটি ধাতুর প্রভাবও বাড়ায়। এরপর ট্রফিটিকে গিলডিং বাথ দেওয়া হয়, গিলডিং মূলত এমন কৌশল যার মাধ্যমে ট্রফিটিতে সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হয়।