রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যে তিন পরিণতির দিকে যাচ্ছে

যুদ্ধক্ষেত্রে জয়-পরাজয়ের ফয়সালার বিষয়টি থমকে গেলেও ইউক্রেনে লড়াই কিন্তু থেমে নেই। পূর্ব দনবাসের বাখমুত শহরের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকে মস্কো এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষকদের মতে, ওই অঞ্চলে লড়াই করতে গিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়ার সামরিক ভাণ্ডারে বেশ ভালো টান পড়েছে। প্রতিদিন শত শত রুশ সেনা হতাহত হচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যুদ্ধের যে গতিপ্রকৃতি সেটাকে অচলাবস্থা বলা চলে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের এক বছর হতে চলেছে। রাশিয়া বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষক এই সংঘাতের গতিপ্রকৃতি আগে থেকে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাঁরা বিশ্বাস করতেন, ভ্লাদিমির পুতিন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সম্প্রসারণ ঠেকাতে ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করেছেন। তাঁরা বলতেন, এটা মস্কোর ‘ভারী ধাতব কূটনীতি’। কিন্তু অনুমান ব্যর্থ প্রমাণ করেই রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করে।

এখন পর্যন্ত এ যুদ্ধ সামরিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগত অনেক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। লড়াইয়ের প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনীর দৃঢ়সংকল্প এবং কিয়েভের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন একদিকে মস্কোকে বিস্মিত করেছে। অন্যদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমারা যে নিষেধাজ্ঞার কূটনীতি প্রয়োগ করেছে, তা বাস্তবায়নের পথে চীন, ভারত ও আফ্রিকার অনেকগুলো দেশ অন্তরায় হয়েছে।

পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রধান লক্ষ্যটি ছিল রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করে দেওয়া। কিন্তু রাশিয়া ভালোভাবেই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সামলেছে। যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপের অনেক দেশ তাদের আগেকার রক্ষণশীল অবস্থা পাল্টে ইউক্রেনীয় অভিবাসীদের মুক্তহস্তে আশ্রয় দিয়ে চলেছে। আমাদের মূল্যায়নে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য তিন পরিণতি হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *