বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছেঃ
করোনাকালে বড় সংকটে পড়েছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শিক্ষার্থী ভর্তি কমে যাওয়ায় বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় কমেছে। এ কারণে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় জনবল কমাচ্ছে। কেউ কেউ শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কাটছাঁট করছে।
গত জুলাইয়ে শুরু হওয়া ‘সামার সেমিস্টারে’ আশা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ১৫ শিক্ষার্থী। অথচ গত বছর একই সেমিস্টারে আইন বিভাগের ৫০টি আসনের প্রায় সবগুলো পূরণ হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি সেমিস্টারে (চার মাসের) ১৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা টিউশন ফি দিতে হয়। এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের মূল উৎস। আশা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সংকটে পড়ে গত মাস থেকে বেশ কিছুসংখ্যক কর্মীকে বিনা বেতনে সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মী প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ করে বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়া ও চাকরির অনিশ্চয়তায় তিনি মারাত্মক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডালেম চন্দ্র বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের সাময়িক কর্মবিরতি (ছুটি) দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির তথ্য অনুযায়ী দেশে ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর কয়েকটি কার্যক্রম এখনো শুরু করেনি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের হিসাবে, গত বছরের সামার সেমিস্টারের তুলনায় এবার বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। কয়েকটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকি সবগুলোতেই এবার শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে। তিনি জানান, সংকট মোকাবিলায় তাঁরা গত মাসে সরকারের কাছে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ চেয়েছেন। তবে এখনো পাননি।