গুহার মুখ দেখলেই গা ছমছম করে। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মশাল জ্বালিয়ে ভেতরে যেতেই পানি। পানি মাড়িয়ে ঢুকতে হয় গুহায়। সামনে যতই পা চালাবেন, ততই গা শিউরে উঠবে। আধা কিলোমিটারের এই সুড়ঙ্গের শেষ মাথাটা খুবই সরু। বের হওয়ার তেমন উপায় নেই। ফিরতে হবে একই পথে।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের পটিয়ার সামীন্তবর্তী গহীন অরণ্যে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া গেছে এই সুড়ঙ্গের সন্ধান। স্থানীয় লোকজন এটিকে ‘বাদুড় গুহা’ বলে থাকেন। কারও কারও মতে, গুহাটি অন্তত দেড়শ বছর আগে সৃষ্ট। তবে বেশি মানুষের মধ্যে জানাজানি হয় বছরখানেক আগে। করোনা–পরবর্তী সময়ে এখন সেখানে উৎসুক মানুষের আনাগোনা।
চট্টগ্রাম শহর থেকে কাপ্তাই হয়ে ৪৫ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই পৌঁছানো যাবে ওই জায়গায়। আর রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদর থেকে গোডাউন সরফভাটা কালিন্দি রানী সড়ক হয়ে ২০ কিলোমিটার দূরত্বে জায়গাটি। পদুয়া ইউনিয়নের পেকুয়াপাড়া গ্রাম পর্যন্ত যানবাহনে যাওয়া যায়। সেখান থেকে ‘ভান্ডালজুড়ি’ ছড়া দিয়ে হেঁটে পাহাড়ি উঁচু নিচু পথ বেয়ে গুহায় পৌঁছাতে হয়। পেকুয়াপাড়া থেকে বাদুড় গুহার দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার। এই পথের পরতে পরতে রয়েছে রোমাঞ্চ, আছে ঝুঁকিও। গুহায় প্রবেশের জন্য পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ খাদ বেয়ে নিচে নামতে হয়।
গত শনিবার বেলা ১১টায় গুহার সন্ধানে এই প্রতিবেদক পদুয়া ইউনিয়নের পেকুয়াপাড়ায় পৌঁছান। সেখানে খোঁজ পাওয়া যায় সাইমন মারমা নামের এক ব্যক্তির, যিনি পর্যটকদের গাইড হিসেবে কাজ করেন। সাইমন মারমার দেখানো পথে কখনো উঁচু পাহাড় থেকে ছড়া, আবার কখনো ছড়া থেকে উঁচু পাহাড় পর্যন্ত হেঁটে গুহার মুখ পর্যন্ত পৌছাতে বেলা দুইটা।