মেসির অনুপস্থিতি কি আর্জেন্টিনার জন্য বিপদের আগাম সংকেত

Lionel Messi Argentine footballer
ইন্টার মায়ামির হয়ে টানা দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি

লিওনেল মেসি

আজ শুক্রবার সকালে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে ইন্টার মায়ামি মুখোমুখি হয়েছিল জ্যামাইকান ক্লাব কাভালিয়েরের বিপক্ষে। এই ম্যাচে লিওনেল মেসিকে মাঠে দেখতে উন্মুখ ছিল জ্যামাইকান ফুটবলপ্রেমীরা।যদিও শেষ পর্যন্ত দর্শকদের সঙ্গী হয়েছে জোড়া হতাশা। মায়ামির কাছে তাদের দল হেরেছে ২–০ গোলে। আর এ ম্যাচে মাঠেই নামেননি মেসি। এমনকি বেঞ্চেও রাখা হয়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে।

আজকের আগে সবশেষ মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) হিউস্টন ডায়নামোর বিপক্ষে ম্যাচেও স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন মেসি। ফলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে মেসির না থাকাকে ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ভক্তদের মধ্যে। প্রশ্ন একটাই, মেসির অনুপস্থিতি বড় কোনো বিপদের আগাম সংকেত নয় তো?

২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকেই চোট পিছু ছাড়ছে না মেসির। যে কারণে খেলতে পারেননি অনেক ম্যাচও। এখন নতুন মৌসুমের শুরুতেও তাঁর দলে না থাকা সেই চোটশঙ্কাকে নতুন করে উসকে দিচ্ছে।

Lionel Messi Argentine footballer
আর্জেন্টিনার হয়ে এ মাসে মাঠে নামবেন লিওনেল মেসিএক্স

বিশেষ করে ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে এ সময় মেসির চোট মোটেই ভালো বার্তা নয়। তা ছাড়া এ মাসেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুটি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। ২২ মার্চ আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে এবং তারপর ২৬ মার্চ ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে তারা।

মায়ামির আর্জেন্টাইন কোচ হাভিয়ের মাচেরানো অবশ্য জানিয়েছেন, চোট নয়, মেসির না থাকার কারণ ক্লান্তি। দলে মেসির অনুপস্থিতি নিয়ে মাচেরানো বলেছেন, ‘লিওর (মেসি) চিকিৎসক যা বলছেন, সেটাই আমি মেনে চলছি। চিকিৎসক বলেছেন, তার কোনো চোট নেই। ৬ দিনে ৩ ম্যাচ খেলে সে ক্লান্ত।’

মাচেরানো যোগ করেন, ‘আমরা চাই না সে ক্লান্ত হয়ে পড়ুক। আমরা তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবশ্যই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের না থাকাটা কাজকে জটিল করে তোলে। কিন্তু আমাদের সামনে থাকাতে হবে এবং তাকে ছাড়া কীভাবে খেলতে হবে, সেটা জানতে হবে।’

মেসিকে ছাড়াও অবশ্য ভালোই করছে মায়ামি। টানা দুই ম্যাচে জয়ও আদায় করে নিয়েছে। কিন্তু এরপরও মেসি না থাকায় কিছুটা শূন্যতা যে তৈরি হয়েছে, সেটা বলাই যায়। পাশাপাশি মেসিকে যে টানা ম্যাচ খেলানোর সুযোগ নেই, সেই বাস্তবতাও যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

মেসির চোখ এখন ২০২৬ বিশ্বকাপে। হাতে সব মিলিয়ে সময় এক বছর তিন মাসের মতো। এই মুহূর্তে বড় কোনো চোট শেষবারের মতো মেসির বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে। ফলে সব ম্যাচ খেলানোর পরিবর্তে কিছুটা হিসাব করে তাঁকে মাঠে নামানোকে কৌশলী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন অনেকে।

মায়ামিও হয়তো সেইসব বিবেচনা করেই মেসিকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, মেসির বড় চোট বিপদের কারণ হতে পারে তাদের জন্যও। ফলে মেসিকে হুটহাট মাঠের বাইরে দেখাটাই হয়তো নতুন বাস্তবতা হতে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *