ইলুমিনাতির গোপন ষড়যন্ত্র

ইলুমিনাতি। নামের সাথে পরিচিত পাঠকদের আর পালন করা যাবে না। যে কোনও জায়গায় রহস্য বা ষড়যন্ত্রের গন্ধ আছে, অনেকে আবিষ্কার করেন ইলুমিনাতি। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং ইলুমিনাতি হ’ল অভিন্ন মুদ্রার দুটি দিক। তবে এই ইলুমিনাতি কী? কীভাবে এলো তারা? কীভাবে বড় চুক্তিটি সত্যই শক্ত এবং কল্পনাটি কেমন? এই গোপন সমাজের সংসারে পারমিটের পালা!

ঘটনাটি দক্ষিণ-পূর্ব জার্মানী বাওয়ারিয়ার রাজ্যে শুরু হয়েছিল। বাভারিয়া আবার জার্মানির বৃহত্তম রাজ্য (যার রাজধানী হিসাবে মিউনিখ)
। ওয়েশাপ্ট (১ 17৮৮-১30৩০) খ্রিস্টান আইন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে পরিবর্তিত হন এবং ইঙ্গোলস্টাড্ট কলেজে দর্শনের প্রয়োগ করেছিলেন। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়টি পুরোপুরি জেসুইটকে মেনে চলেছিল, অর্থাৎ পুরো খ্রিস্টান নিয়ন্ত্রণে এর প্রভাব পড়ে। খ্রিস্টধর্মের প্রতি স্বল্প নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে এমন প্রত্যেককেই বহু ঝামেলা সহ্য করতে হবে। আদম তারপরে একটি গোপন সমাজের ধারণা যা তাকে “আলোকিত করা” উচিত। এবং এই গোপন সমাজের অবদানকারীরা খুব শেষ স্তরের বুদ্ধিজীবী হতে পারেআদম

তবে এরপরেই ফ্রিম্যাসনারি নামে আরও একটি গোপনীয় সমাজ রয়েছে। [আমরা আশা করি অন্য পর্বে ফ্রিম্যাসনদের নিয়ে কথা বলব]] তবে আদম দেখেছেন যে ফ্রিম্যাসনগুলিতে যোগদান একটি বড় চুক্তিতে পরিণত হয়েছে। তদ্ব্যতীত, এটি এখন তার নিজস্ব চিন্তাভাবনার সাথে ভালভাবে অতিক্রম করে না। সুতরাং তিনি নিজের চিন্তাভাবনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি অধিবেশন খোলার ইচ্ছাকৃত করেছেন এবং এটিতে ফ্রিম্যাসনগুলির মতো পিনাল রেটিংয়ের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার একটি ডিভাইস থাকবে। তিনি প্রথমে তার অধিভুক্তির নাম রেখেছিলেন “বান্ড ডের পারফেক্টবিলিস্ট”, বা “পারফেক্টিবিলিটির চুক্তি”; তবে এই অযৌক্তিক কলটি আর নিজের পছন্দে পরিণত হয়নি,

তিনি প্রথমে তার অধিভুক্তির নাম রেখেছিলেন “বান্ড ডের পারফেক্টবিলিস্ট”, বা “পারফেক্টিবিলিটির চুক্তি”; তবে তিনি আর এই অদ্ভুত কল পছন্দ করেন নি।

1 লা মে. সালটা ষোল। সেদিন আদম এবং তাঁর চার কলেজ ছাত্র এই অধিভুক্তি শুরু করেছিলেন। এবং এফিলিয়েশনের চিত্রটি হ’ল পেঁচা মিনার্ভা, জানার গ্রীক দেবী

রভার পেঁচাইলুমিনাতির প্রথম লোগো

 

বর্তমানে, অনেক প্রতিষ্ঠান ইলুমিনাটি কলটির নীচে প্রকৃত বাভেরিয়ান ইলুমিনাটি হিসাবে ঘোষণা করে। তবে এখন কেন আর একবার বেসরকারীতার notণ নেওয়া হবে না, যা প্রমাণ করে যে তারা প্রকৃত ইলুমিনাতি নয়। এমনকি তারা তাদের নিজস্ব বৈধ ওয়েবসাইট রয়েছে বলে ঘোষণা করে আধুনিক ডলারের সীল আমাদের অবিশ্বাস্য সীলকে কাজ করে, যার সাথে একটি চোখ রয়েছে, “উইন্ডফলের চোখ” বা “দেবতাদের সর্বদাই চোখ” বলে পিরামিডের উপরে স্থির করে দেওয়া।

সেই যে বই দুটো দাবি করেছিল ইলুমিনাতি বেঁচে আছে, শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও সে মতবাদ রয়ে যায়। এক নজরে দেখে নেয়া যাক কী কী ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচলিত আছে ইলুমিনাতির নামে-

১) প্রচুর a তত্ত্ব মতে, শক্তিমান সিক্রেট সোসাইটি ইলুমিনাতি মূলত এ বিশ্বের সকল প্রধান নিয়ন্ত্রণ করে।

২) ফ্রেঞ্চ বিপ্লবের সূচনাও ইলুমাতির হাতেই।

৩) নেপোলিয়নের ওয়াটারলু যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণ করে ইলুমিনাতি।

৪) আমেরিকান প্রেসিডেন্ট কেনেডির গুপ্তহত্যা আসলে ইলুমিনাতিই করিয়েছে, কারণ তিনি বাধা দিচ্ছিলেন তাদের কাজে।

৫) “নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার” ত্বরান্বিত করা। এই অর্ডারের মাধ্যমে সারা বিশ্ব থাকবে ইলুমিনাতির হাতের মুঠোয়। ১৯৯১ সালে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের কথা প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র তার ভাষণে উল্লেখকরবার পর এই তত্ত্ব তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

ঘটনা

৫) “নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার” ত্বরান্বিত করা। এই অর্ডারের মাধ্যমে সারা বিশ্ব থাকবে ইলুমিনাতির হাতের মুঠোয়। ১৯৯১ সালে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের কথা প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র তার ভাষণে উল্লেখ করবার পর এই তত্ত্ব তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

ঘটনা

৬) হলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ইলুমিনাতির দখলে। এর মাধ্যমে ইলুমিনাতি আপনার অবচেতন মনে তাদের বিশ্বাসগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছে, কিংবা আপনাকে ব্রেইনওয়াশ করছে।

৭) শয়তানের উপাসনার মাধ্যমে স্বার্থ হাসিল করে ইলুমিনাতি। খ্রিস্টান ও মুসলিম ষড়যন্ত্র তত্ত্বমতে, ইলুমিনাতির এক চোখা প্রতীক প্রমাণ করে যে, ইলুমিনাতি হলো সেই সংঘ যারা

৫) “নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার” ত্বরান্বিত করা। এই অর্ডারের মাধ্যমে সারা বিশ্ব থাকবে ইলুমিনাতির হাতের মুঠোয়। ১৯৯১ সালে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের কথা প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র তার ভাষণে উল্লেখ করবার পর এই তত্ত্ব তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

ঘটনা

৬) হলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ইলুমিনাতির দখলে। এর মাধ্যমে ইলুমিনাতি আপনার অবচেতন মনে তাদের বিশ্বাসগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছে, কিংবা আপনাকে ব্রেইনওয়াশ করছে।

৭) শয়তানের উপাসনার মাধ্যমে স্বার্থ হাসিল করে ইলুমিনাতি। খ্রিস্টান ও মুসলিম ষড়যন্ত্র তত্ত্বমতে, ইলুমিনাতির এক চোখা প্রতীক প্রমাণ করে যে, ইলুমিনাতি হলো সেই সংঘ যারা

৮) বলা হয়, এই ব্যক্তিরাও ইলুমিনাতির সদস্যঃ বারাক ওবামা, পোপ, রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, জর্জ ডব্লিউ বুশ, কানিয়ে ওয়েস্ট, বব ডিলান, রিহান্না, বিয়ন্সে, লেডি গাগা, জিম ক্যারি, ম্যাডোনা প্রমুখ।

৯) বব মার্লে, কেনেডি, মাইকেল জ্যাকসন, হিথ লেজার- এদেরকে স্যাক্রিফাইস হিসেবে উৎসর্গ করে ইলুমিনাতি।

১০) সারা পৃথিবী নিয়ন্ত্রণকারী Bilderberg Group এর সাথে ইলুমিনাতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। [এ গ্রুপ নিয়ে আবার রয়েছে বিশাল থিয়োরি]

১১) ডিজনি কার্টুনের মাধ্যমে ইলুমিনাতি শিশুমনে ইলুমিনাতির বিশ্বাস ঢুকিয়ে দিতে চায়।

১২) ইলুমিনাতির বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯৪৭ সালে একটি ইউএফও ক্র্যাশ করানো হয় আমেরিকার রজওয়েলে, সেখান থেকে চারজন এলিয়েনকে উদ্ধার করা হয়। আমেরিকান মিলিটারির সহায়তায় তারা ব্ল্যাকমেইল করে তাদেরকে বাধ্য করে এলিয়েন প্রযুক্তি বিনিময় করতে। তাছাড়াও কিছু আকার পরিবর্তনে সক্ষম রেপ্টিলিয়ান এলিয়েন দ্বারা তারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বদল করেছে, যেন তাদের মতই দেখতে এলিয়েনরা কাজ চালিয়ে যায়, যেমন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ একজন রেপ্টিলিয়ান এলিয়েন। তাছাড়া উন্নত ক্লোনিং প্রযুক্তির মাধ্যমে আসল ব্যক্তিদের হুবহু ক্লোন বসিয়ে দিয়ে পুরো বিশ্বের দখল নিয়ে নিচ্ছে ইলুমিনাতি।

কোন তত্ত্ব মিস করে গেলে আমাদের জানাতে পারেন।

ড্যান ব্রাউনের বিখ্যাত উপন্যাস ‘অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমন্স’ মূলত ইলুমিনাতি নিয়ে নতুন করে গণমনে আগ্রহ জাগিয়ে তোলে, যদিও সে বই শেষ পর্যন্ত পাঠককে ইলুমিনাতি বিষয়ে হতাশ করে বসে। বইয়ের উপর করা চলচ্চিত্রে রবার্ট ল্যাংডন চরিত্রে অভিনয় করেন জনপ্রিয় অভিনেতা

অভিনেতা
Angels & Demons {ছবির পোস্টার }

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *