দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে নতুন রোগী কমেছে প্রায় ২৭ শতাংশ। আর মৃত্যু কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ। এ সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হারও কমেছে। তবে শনাক্তের হার এখনো ২০ শতাংশের বেশি।
দেশে টানা ১০ সপ্তাহ পর এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যু কমতে দেখা গেল। আর টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো নতুন রোগীর সংখ্যাও নিম্নমুখী। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে নতুন রোগী বাড়ছিল।
গতকাল শনিবার দেশে সংক্রমণের ৭৫তম সপ্তাহ (৮–১৪ আগস্ট) শেষ হয়। এই সপ্তাহে মোট ৬৮ হাজার ৮২২ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ জনের। গত এক সপ্তাহে মোট ৩ লাখ ১১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এক সপ্তাহে মোট পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল প্রায় ২৩ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে (১ থেকে ৭ আগস্ট) ৯৩ হাজার ৯১২ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ৭২৬ জনের। ওই সপ্তাহে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৮ শতাংশের মতো।

করোনার সংক্রমণ দেশে করোনা সংক্রমণ মোট শনাক্ত ১৪,১২,২১৮ (৮ মার্চ ২০২০ থেকে ১৪ আগস্ট ২০২১) মোট সুস্থ ১২,৮১,৩২৭ মোট মৃত্যু ২৩,৯৮৮ ২৪ ঘণ্টার চিত্র নমুনা পরীক্ষা ৩৩,৩৩০ শনাক্ত রোগী ৬,৮৮৫ মৃত্যু ১৭৮ সুস্থ ৭,৮০৫ সূত্র: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ থেকে এখনো অনেক দূরে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে রোগী শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহের বেশি ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। দেশে রোগী শনাক্তের হার এখনো ২০ শতাংশের ওপরে।
গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট ১৪ লাখ ১২ হাজার ২১৮ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৮১ হাজার ৩২৭ জন। আর মারা গেছেন ২৩ হাজার ৯৮৮ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭০ শতাংশ।
সংক্রমণের গতি ঠেকাতে ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। ঈদের জন্য আট দিন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর ২৩ জুলাই থেকে তা আবার জারি করা হয়। ১১ আগস্ট থেকে প্রায় সব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে রাস্তাঘাট, যানবাহন, শপিং মল—সবখানেই মানুষের ভিড় বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধিও যথাযথভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবার অবনতির দিকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা