
গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন অ্যান্ডারসন। দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তরের দুজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে মার্ক এসপারকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরখাস্ত করার পরদিনই অ্যান্ডারসন পদত্যাগ করলেন।
একই দিন দেশটির বিচার বিভাগের নির্বাচনসংক্রান্ত অপরাধবিষয়ক শীর্ষ আইনজীবী রিচার্ড পিলগারও পদত্যাগ করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কথিত ভোট জালিয়াতি তদন্তের আদেশ দিলে প্রতিবাদে পিলগার পদত্যাগ করেন।অ্যান্ডারসন প্রতিরক্ষা দপ্তরের পলিসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি জন রডের স্থলে এই দায়িত্বে ছিলেন। জন রডকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বিস্তর মতপার্থক্যের জেরে তিনি বরখাস্ত হন।
অ্যান্ডারসন নিজ থেকেই পদত্যাগ করেছেন নাকি তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।
২০১৮ সাল থেকে পেন্টাগনে ছিলেন অ্যান্ডারসন। তিনি শুরু করেছিলেন স্ট্যাট্রেজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে। পরে পলিসি বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি হন। রড বরখাস্ত হলে সেই দায়িত্ব এসে পড়ে অ্যান্ডারসনের ওপর।
গত সোমবার টুইট করে এসপারকে বরখাস্তের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এসপার বরখাস্ত হওয়ার পর ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের প্রধান ক্রিস্টোফার মিলার তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প ও এসপারের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ প্রকাশ্য হয়ে পড়ে। এই বিরোধের জেরেই এসপার বরখাস্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে ডেমোক্র্যাট শিবির।
এসপারের আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন জেমস ম্যাটিস। সিরিয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধের জেরে তিনি ২০১৮ সালে পদত্যাগ করেন।
ট্রাম্প তাঁর চার বছরের মেয়াদকালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাকে বরখাস্ত করেছেন। তাঁর প্রশাসনের অনেকে পদত্যাগ করেছেন বা পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প তাঁর ডেমোক্রেটিক প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তবে তিনি এখন পর্যন্ত পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। এ নিয়ে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন