ক্রিকেটার মঈন আলীর জীবনদর্শনের ব দলে যাওয়ার শুরুটা ইংল্যান্ড অনূর্ধ ১৯ দলের হয়ে খেলার সময়। দর্শক সারিতে তিনি খুঁজে পান সদ্য মুসলিম হওয়া এক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কে। তার সান্নিদ্ধে চিন্তা ভাবনা পুরাটাই বদলে যায় মইনের।
মইন আলির ভাষ্য অনুযায়ী ক্রিকেট তাকে বেঁচে থাকার উপায় দেখিয়েছে আর ইসলাস দেখিয়েছে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে বলেছিলেন তিনি বৃটিশ মুসলিম গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছেন।
১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের বার্মিং হামে জন্ম এই অলরাউন্ডারের। তার দাদা পাকিস্তান থেকে ইংল্যান্ড এসে ধৃত হয়ে ছিলেন। তার স্ত্রী ফিরোজা হোসেইন। তিনি বাংলাদেশের বংশদ্ভুত । আবু বকর নামে তাদের একটি ছেলে আর হাদিয়া নামে একটি মেয়ে আছে।
লম্বা দাড়ির কারনে বিভিন্ন বিমান বন্দরে মঈন আলি প্রায়ই হয়রানির স্বিকার হতে হয়। এমনকি তার নিজের শহর বার্মিং হামের বিমান বন্দরে একবার জংগি সন্দেহে তাকে ৪০ মিনিট তল্লাশি করা হয়।
তবে এসবে কখনো বিচলিত হন নি মইন আলি। বিতর্কিত লেখিকা তস্লিমা নাসরিন এবছরের এপ্রিলে টুইট করে বলেন ক্রিকেট না খেল্লে জংগি হতেন মঈন আলি।
এর উত্ত্রে তিনি কিছুই বলেন নি। তবে মঈন আলির পক্ষ নিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যান্যরা কড়া ভাষায় তসলিমা নাসরিনের টুইটের প্রতিবাদ করেন।
ইংল্যান্ডের কাউন্টি লীগে তিনি২০০৭ সাল থেকে খেলছেন ওস্টারশায়ার ক্লাবে। মঈন নিয়মিত নামাজ পড়ায় ক্লাব কতৃপক্ষ তাদের ভেন্যুতে একটি নামাজের কক্ষ যুক্ত করেছে। রমজান এলে রোজা রেখে খেলেন তিনি। ক্লাব কিংবা ইংল্যান্ড জাতীয় দলে থকে এ নিয়ে কখনো বাধা আসেনি। বরং সবার সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানান মঈন।
একবার ফিলিস্তিনের সমর্থনে ফ্রী ফেলেইস্টাইন পড়া রিস্ট ব্যান্ড পড়ে খেলতে নেমেছিলেন এই অলরাউন্ডার। তখন অনেক বিতর্ক হয়েছিল।