চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকিতে আজ জাপানের বিপক্ষে জয়ের আশা ছিল না বাংলাদেশের। ড্রয়ের স্বপ্নও দেখেননি আশরাফুল ইসলামরা। শেষ পর্যন্ত জাপানের কাছে আজ বাংলাদেশ দল হেরেছ ৫–০ গোলে।
আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, জাপানের সঙ্গে কখনো জেতেনি বাংলাদেশ, ড্রও করেনি। আজকের ম্যাচসহ ছয় ম্যাচেই লাল–সবুজের হার। সময়ের ব্যবধানে জাপান অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রমেই পিছিয়েছে।

২০১৪ সালে ইনচন এশিয়ান গেমসে রাসেল মাহমুদরা সর্বোচ্চ ৮–০ গোলে হারেন জাপানের কাছে। সে তুলনায় আজকের হার সহনীয় বলতে পারেন অনেকে।
চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৯-০ গোলে উড়ে গিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েনি বাংলাদেশ। পরদিনই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে ৩-২ গোলে হার। আজ অবশ্য জাপানের বিপক্ষে সেভাবে তীব্র লড়াই করা সম্ভব হয়নি।
কোরিয়া ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া বাংলাদেশ গোলকিপার বিপ্লব কুজুর আজ প্রথম কোয়ার্টারে কয়েকটি বল আটকেছেন। এই কোয়ার্টারে কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে কোরিয়ার কেনতা তানাকার জোরালো হিটে পরাস্ত করেন কুজুরকে। পরপরই পেনাল্টি কর্নারে ২–০ করেন রাইকি ইয়ামাশিতা।

তৃতীয় কোয়ার্টারে কাতো রায়োসির পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে ৩–০ হয়েছে। এই কোয়ার্টারের শেষ দিকে কাতো রায়োসির পেনাল্টি কর্নার গোলে ৪–০। শেষ দিকে রিভার্স হিটে ৫–০ করেন সিরান তানাকা।
টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে বাংলাদেশ পয়েন্টশুন্য। আশরাফুলদের শেষ লিগ ম্যাচ আগামীকাল পাকিস্তানের সঙ্গে। ৫ দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ সবার শেষেই থাকছে। জাপান ৩ ম্যাচ খেলে ৫ পয়েন্ট পেয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে ০–০ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ৩–৩ গোলে ড্র করে জাপান। আজ দিনের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ৩–৩ গোলে ড্র করেছে পাকিস্তান। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান আছে টেবিলের চারে।
কোরিয়া তাদের ৪টি লিগ ম্যাচই শেষ করেছে। ১ জয় আর ৩ ড্রয়ে ৬ পয়েন্ট। ৫ দলের লড়াইয়ে কোরিয়া আছে দুইয়ে। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ভারত সবার ওপরে। জাপান তিনে।