সেতু কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলেছে, পিলারের পাইপ ক্যাপে ধাক্কা লাগায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এরপরও একের এর ধাক্কার ঘটনা কেন ঘটবে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ধাক্কা লাগার কারণ হিসেবে বর্ষার সময় নদীর তীব্র স্রোত, পিলারসংলগ্ন স্থানে স্রোতের গতির পরিবর্তনের কারণের কথা বলা হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা জাহাজী মনে করছে, মুঠোফোনের সতর্কবার্তা এসব দুর্ঘটনা এড়াতে সহযোগিতা করতে পারে। এ জন্য ফেরি বা নৌযানে বসাতে হবে একটি করে যন্ত্র। জাহাজী তাদের বানানো এই ট্র্যাকিং বা নজরদারি যন্ত্রের নামও দিয়েছে জাহাজী।
জাহাজী বলছে, ফেরি বা নৌযানের চালক ও অন্য যাঁরা এসব নৌযান চলাচল দেখভাল করছেন, তাঁদের মুঠোফোনে এই অ্যাপ বা সফটওয়্যারটি থাকতে হবে। তবে এটি নতুন কোনো অ্যাপ নয়। একের পর এক ধাক্কা লাগার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগের অ্যাপে নতুন একটি ফিচার যোগ হয়েছে।
জাহাজীর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) অভিনন্দন জোতদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আগের সফটওয়্যারে নতুন একটি ফিচার যোগ করেছি শুধু। যার ফলে শুধু পদ্মা সেতু না, নদীর ওপরে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় মার্ক ও অ্যালার্ট ব্যবস্থা চালু করেছি।
জাহাজীর সিওও জানান, জাহাজী অ্যাপের ম্যাপে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন পদ্মা সেতুর পিলারগুলো বরাবর জিও ফেন্সিংয়ের (সীমারেখা টেনে দেওয়া) মাধ্যমে লাল মার্ক বসানো হয়েছে। ফলে জাহাজী অ্যাপের নতুন ট্রিপ হিস্ট্রি ফিচার (ওই নির্দিষ্ট নৌযানের চলাচলের ইতিহাস) জানা যাবে। এটাও জানা যাবে, নদীর ওপরে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পার হওয়ার সময় ফেরি বা জাহাজের গতি কত ছিল। নির্দিষ্ট গতিসীমা মেনে জাহাজটি নির্দিষ্ট জায়গাটি পার হয়েছে কি না। স্থাপনার কাছাকাছি গিয়ে জাহাজের গতিপথ হঠাৎ পরিবর্তিত হয়েছে কি না। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো স্থানে জাহাজের গতি বা রুটে কোনো অনিয়মিত পরিবর্তন লক্ষ করলেই, জাহাজী অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাহাজমালিক, কর্তৃপক্ষ, এমনকি নৌযানের চালককেও সতর্কবার্তা পাঠাতে পারে। যেমন পদ্মা সেতুর ৫০০ মিটার কাছে এলেই নৌযানের গতি যদি ধাক্কা লাগার মতো হয়, তবে অ্যালার্ম বাজবে। তাতে নৌযানচালক যেমন তেমনি পর্যবেক্ষণকারীরাও সতর্ক হতে পারবেন।