১০. বোহেমিয়ান ওয়াক্সউইং
![]() |
বোহেমিয়ান ওয়াক্সউইং |
বোহেমিয়ান ওয়াক্সউইং বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর চড়াই জাতীয় পাখির মধ্যে একটি। এই পাখি সাধারণত উত্তর আমেরিকা এবং ইউরেশিয়াতে বেশির ভাগ দেখা যায়। শীতকালে তারা পাল ধরে আমেরিকা উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে চলে যায়। এই পাখির মাথায় ঝুটি ধুসর-বাদামী ডানা এবং হলুদ রঙের সুন্দর লেজ আছে এবং এই পাখির দৈর্ঘ্য ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার। এই পাখি তার সুন্দর কণ্ঠের জন্য বিখ্যাত।
৯. হায়াসিন্হ ম্যাকাও
![]() |
হায়াসিন্থ ম্যাকাও |
এটি বিশ্বের সমস্ত উড়ন্ত তোতা পাখিদের মধ্যে বৃহত্তম। এই পাখি সাধারণ উত্তর ব্রাজিলে দেখা যায়। এদের চোখের চারপাশে হলুদ রঙের রিং এবং নীল সুন্দর পালক এবং সুন্দর দীর্ঘ লেজের জন্য এই পাখি বিখ্যাত।মাথার ঝুটি থেকে পা পর্যন্ত এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ১ মিটার। সারা বিশ্বে এই পাখির সংখ্যা খুবই কম। সাধারণত তৃনভূমীতেই এই পাখি দেখা যায়।
##আরো পড়ুন..ভারতের সবচেয়ে ধনী দশটি মন্দির
৮. কাঠের হাঁস
![]() |
কাঠের হাঁস |
এই পাখি সাধারতন আমেরিকার জলাভূমিতে দেখা যায়। এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৬ থেকে ৫৩ সেন্টিমিটার। এই পাখি সাধারণত স্রোত বহুল জলে বাস করে এবং গাছের মধ্যে ছিদ্র করে বাসা বাঁধে। এই পাখির মধ্যে পুরুষ পাখি বেশি সুন্দর হয় তাদের গলার নীচে সাদা শিখা, লাল চোখ এবং বিভিন্ন বর্ণের পালক দেখা যায়। এবং মহিলা পাখি পুরুষ পাখির তুলনায় কম সুন্দর। তাদের পালক কম রঙিন, চোখে সাদা রিং এবং সাদা গলা আছে।
## আরো পড়ুন ..বিশ্বের 10 টি ধনী ক্রিকেটার 2020
৭. গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ
![]() |
গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ |
গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ চড়াই জাতীয় পাখি যা অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত বেশি দেখা যায়। গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ খুব ছোটো আকারের পাখি। এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ থেকে ১৪০ মিলিমিটার। এই পাখির মাথার রং লাল, কালো এবং হলুদ হয় এবং পালকের রং সবুজ, নীল এবং হলুদ। এরা ঝাঁক বেধে থাকতে বেশি পছন্দ করে।
৬. রেইনবো লরিকিট
![]() |
রেইনবো লরিকিট |
রেইনবো লরিকিট একটি মাঝারি আকারের তোতা যা সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় বেশি দেখা যায়। আর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার এবং ওজন প্রায় ৭০ থেকে ১৫০ গ্রাম। এই পাখির মাথার রং গভীর নীল এবং বাকি অংশ সবুজ। রেইনবো লরিকিট বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখিদের মধ্যে একটি সুন্দর পাখি।
৫. অস্ট্রেলিয়ান রাজা তোতা
![]() |
অস্ট্রেলিয়ান রাজা তোতা |
এটি সুন্দর ধরণের একটি তোতা পাখি যা সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায়। এই তোতা পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এই পাখি পাহাড়ি অঞ্চলের গাছ গুলিতে বেশি দেখা যায়। এই পাখির মাথার রং গভীর লাল এবং বাকি পালক এবং লেজ গভীর সবুজ।
৪. ময়ূর
![]() |
ময়ূর |
ময়ুর সাধারণত ভারতবর্ষের বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এটি ভারতের জাতীয় পাখি। ময়ুর তার লেজের সুন্দর প্রদর্শনের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। সাধারণত বর্ষাকালে এদের লেজের বর্ণময় প্রদর্শন দেখা যায়। এই প্রদর্শন করা অবস্থায় ময়ুর দেখতে বেশি সুন্দর হয় এবং মহিলা অনেকটা মুরগির মতো দেখতে হয়।
৩. আটলান্টিক পাফিন
![]() |
আটলান্টিক পাফিন |
এই পাখিটিও বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখির মধ্যে একটি। আটলান্টিক পাফিন একটি ছোটো সামুদ্রিক পাখি যা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং পূর্ব কানাডার উপকূলে দেখা যায়। এই সুন্দর পাখি গুলি দেখতে বহু বর্ণের এবং রঙিনপেঙ্গুইনের মতো এরা বেশিরভাগ সময় সাগরেই কাটায় সেই কারণে এদের সমুদ্রের তোতা বল হয়। আটলান্টিক পাফিন প্রতি গ্রীষ্মে আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ গুলিতে প্রজনন করে।
২. ক্রেন জু
![]() |
ক্রেন জু |
ক্রেন জু বিশ্বের উড়ন্ত পাখি গুলির মধ্যে একটি। এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার। এই পাখি গুলি বিশ্বের প্রায় সব মহাদেশেই দেখতে পাওয়া যায়। এই পাখির গলা লম্বা আকারের, মাথার রং কালো সাদা এবং হলুদ। এছাড়া এই পাখির ধানের শিশের মতো সুন্দর ঝুটি দৃষ্টি আকর্ষন করে। এদের শরীরের পালক বিভিন্ন রঙের হয় যা অবস্থান অনুযায়ী পরিবর্তন হয়।
১. কিল-বিল্ড টৌকান
![]() |
কিল-বিল্ড টৌকান |
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখিদের মধ্যে কিল-বিল্ড টৌকানের নামও রয়েছে। এই সুন্দর পাখি সাধারণত দক্ষিণ আমেরিকার বনাঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এই পাখির দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৪ কেজি হতে পারে। এই পাখির বিশেষ বৈশিষ্ট্য তাদের সেন্টিমিটার লম্বা সুন্দর ঠোট। এই পাখি সাধারণ বিভিন্ন বর্ণের হয়। এবং এর ঠোটের রং সবুজ, লাল এবং হলুদ মিশ্রণ। সাধারণত ওজন ভারি হওয়ায় এই পাখি বেশিদূর পর্যন্ত উড়তে পারেনা।