মৌমাছিঃ পবিত্র কুরআনে বর্নিত একজন তীক্ষ্ণধী চিকিৎসক।
মৌমাছি ফুলের রস থেকে মধু সংগ্রহ করে। বিজ্ঞান বলছে মধুর মধ্যে রয়েছে এন্টিসেপ্টিক। মধুতে রয়েছে বিভিন্ন রোগের ঔষধ। এটি এলার্জির চিকিৎসা সহ বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। এমনকি রাশিয়ান সৈনিকরা তাদের ক্ষতস্থানে প্রলেপ দেওয়ার জন্য মধু ব্যবহার করত, যেতা টিস্যুতে সামান্য পরিমান দাগ থাকত। নতুন এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, সর্দি-কাশির চিকিৎসায় প্রচলিত বিভিন্ন ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিকের তুলনায় মধু বেশি কার্যকরী। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় বলেন, সর্দি-কাশির চিকিৎসায় রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে মধু খাওয়ার সুপারিশ করতে পারেন চিকিৎসকরা।
আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশন (ইউআরটিআই) নাক, গলা, কণ্ঠস্বর এবং শ্বাসনালীকে যথেষ্ট প্রভাবিত করে থাকে, যার ফলে ফুসফুস সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকতে পারে। এই লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- গলাব্যথা, নাক বন্ধ ও কাশি। শিশুদের কাশি, গলাব্যথা এবং সাধারণ সর্দির জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এইযে এতো উপকার মধুতে,বিজ্ঞান এটা কিছুদিন হলো জানলেও কুরআন তা বহুশত বছর পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছে আমাদের, আল্লাহ তায়ালা সুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াতে বলেনঃ
ثُمَّ كُلِي مِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ فَاسْلُكِي سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا ۚ يَخْرُجُ مِن بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِّلنَّاسِ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
“তারপর সব রকম ফল থেকে নিজ খাদ্য আহরণ কর। তারপর তোমার প্রতিপালক তোমার জন্য যে পথ সহজ করে দিয়েছেন, সেই পথে চল। (এভাবে) তার পেট থেকে বিভিন্ন বর্ণের পানীয় বের হয়, যার ভেতর মানুষের জন্য আছে রোগনিরাময়ের উপকরণ। নিশ্চয়ই এসবের মধ্যে নিদর্শন আছে সেই সকল লোকের জন্য, যারা চিন্তা-ভাবনা করে।”
হাদিসেঃ আবু হুরায়রাহ (রা.), থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ কালিজিরায় মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের নিরাময় আছে। ‘আস-সাম’ অর্থ মৃত্যু, হাব্বাতুস সাওদা অর্থ কালিজিরা। (ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৪৪৮)