রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের লুকিয়ে রাখা টাকা খুঁজতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) অনুরোধ করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সাহেদের টাকাপয়সা, ধনসম্পদের কোনো খোঁজ তারা পায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং ঢাকা ও সাতক্ষীরায় র্যাবের হাত ঘুরে এখন পুলিশি হেফাজতে আছেন সাহেদ। উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানার চারটি মামলায় আদালত তাঁকে ২৮ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন। তবে ৫ আগস্ট সাতক্ষীরার দেবহাটায় অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। সুবিধামতো সময়ে তাঁকে পুলিশ আবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা যায়।
গতকাল শনিবার র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট জালিয়াতি করে মো. সাহেদ সাড়ে ছয় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার ১৬০ অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু দেশের ভেতর তাঁর অর্থসম্পদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে র্যাব সিআইডির সহযোগিতা চেয়েছে।
সিআইডির অপরাধ দমন বিভাগের উপমহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সম্পদের অনুসন্ধানের জন্য কাজ শুরু করেছে সিআইডি। মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়েরের আগে তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা আছে। ক্ষেত্রবিশেষে ৭ থেকে ২৪টি সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। মো. সাহেদের ব্যাপারে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।